ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সীমান্তে পরিস্থিতি। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে ফের প্যাংগং সো লেকে গুলি চলেছে। ভারতীয় ও চিনা সেনারা শূন্যে গুলি চালায় বলে খবর। মস্কোতে বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের ঠিক আগে আগেই নতুন করে ঝামেলা শুরু হয়েছিল লাদাখে। এই গোলাগুলি প্যাংগং লেকের উত্তরে ফিঙ্গার ৪-এর কাছে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
২৯-৩০ অগস্ট প্রথমবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলি চলে, ৪৫ বছর পরে। তারপর থেকে এই নিয়ে তৃতীয় বার গুলি চলল। জানান গিয়েছে ফিঙ্গার ৩ ও ফিঙ্গার ৪ যেখানে মিলেছে, সেই সিরিজাপ রেঞ্জের ওপর গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন ভারতীয় ও চিনা সেনা। একে অপরকে সতর্ক করার জন্য শূন্যে প্রায় ২০০-৩০০ রাউন্ড গুলি চলে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে লেকের দুই ধারে সম্মুখ সমরে ভারত ও চিনা সেনা।
রাজনাথ সিং সোমবার লোকসভায় বলেন যে সমস্ত বোঝাপড়া ভঙ্গ করে চিন সীমান্তে প্ররোচনা দিচ্ছে, সেনা বাড়াচ্ছে, জায়গা দখল করার চেষ্টা করছে। ভারতীয় সেনা যখন প্রয়োজন ধৈর্য্য দেখাচ্ছে, যেখানে দরকার নিজেদের বীরত্ব প্রদর্শন করছে ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য। এই মুহুর্তে প্যাংগংয়ের দুই প্রান্তে, গোগরা ও কোংগকা লা-তে উত্তেজনা আছে বলে তিনি জানান।
প্যাংগংয়ে আগে ভারত ফিঙ্গার ৮ অবধি প্যাট্রলিং করত। ভারতের হিসেব মতো এলএসি ফিঙ্গার ৮ দিয়ে যায়, অন্যদিকে চিনের মতে ফিঙ্গার ৪ হল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা। চিন ফিঙ্গার ৪ এ চলে আসায় প্রায় আট কিলোমিটার পথে ভারত আর প্যাট্রলিং করতে পারছে না। এই পরিস্থিতিকে বদলানোর জন্যেই ফিঙ্গার ৪-এর কাছে কিছু চুড়ো দখল করেছে ভারত। সেই নিয়েই শুরু বিতর্ক, যা শেষ পর্যন্ত শূন্যে গুলি ছোঁড়া অবধি গড়িয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতি সামলানোর জন্য যে ভারত প্রস্তুত, সংসদে দাঁড়িয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেন রাজনাথ সিং।