পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বাস দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাজি হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। কিন্তু সেই বাসের ইস্যু নিয়ে মঙ্গলবার সারা দিন ধরে চলল নাটক। রাতে গ্রেফতার হলেন উত্তর প্রদেশ কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট অজয় কুমার লাল্লু ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সচিব সন্দীপ সিং। উত্তর প্রদেশ সরকারের অভিযোগ যে হাজার বাসের তালিকা দিয়েছে কংগ্রেস, তার মধ্যে আছে অটো, ট্রাক ও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর।
একই সঙ্গে অনেক বাসের বিমা ছিল না। ফিটনেস সার্টিফিকেটও ছিল না কিছু বাসের বলে যোগী সরকারের অভিযোগ। পরিযায়ীদের জীবন নিয়ে কংগ্রেস খেলা করছে, এই অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের সরকারের তরফ থেকে। অজয় ও সন্দীপের বিরুদ্ধে চিটিং ও ফর্জারির অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ১৬ মার্চ প্রথমবার পরিযায়ীদের জন্য বাস চালানোর প্রস্তাব দেয় কংগ্রেস। প্রাথমিকভাবে রাজি না হলেও, সোমবার এই প্রস্তাব গ্রহণ করে রাজ্য সরকার। বাসের তালিকা দিতে বলা হয় কংগ্রেসকে। ঠিক হয় ৫০০টি বাস আসবে দিল্লি সংলগ্ন গাজিয়াবাদে, বাকি ৫০০টি লখনউতে। কিন্তু এরপরই শুরু হয় গণ্ডগোল। বাসের নম্বর বলে স্কুটার, গাড়ির নম্বরও দেওয়া আছে, এই অভিযোগ ওঠে। কংগ্রেস যদিও সেটা অস্বীকার করে।
কংগ্রেস অভিযোগ করে রাজস্থান থেকে উত্তরপ্রদেশে বাসগুলিকে ঢুকতে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। সেখানেই প্রতিবাদে বসেন কংগ্রেস নেতারা। এরপর ২৯৭টি বাসে ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই, সেই অভিযোগও করে শাসক দল। শুরু হয় দোষারোপের পালা।
উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস প্রধানকে আগ্রা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইটারে বলেন যে ৮৭৯টি বাসে কোনও সমস্যা নয়, সেগুলিকে তো প্রবেশ করতে দেওয়া যায়। পরিযায়ীদের সাহায্য না করে, তাদের আসায় বাধা সৃষ্টি করছে রাজ্য সরকার, বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য বলেন যে বাস স্ক্যাম করেছে কংগ্রেস। নিজেদের মিথ্যের জালে তারা জড়িয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আরেক উপ মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা প্রশ্ন করেন, সত্যি যদি পরিযায়ীদের কথা ভাবে কংগ্রেস, তাহলে রাজস্থান সরকার এই বাসগুলি চালাচ্ছে না কেন।