জিএসটি-র জটিল হিসেব নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কোয়েম্বাটুরের এক প্রসিদ্ধ রেস্তোরাঁ মালিক। শহরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে এক সম্মেলনে রেস্তোরাঁ মালিক সেই কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রীকে। পরে সেই ব্যবসায়ীকেই নাকি বন্ধ ঘরে অর্থমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল। আর সেই ক্ষমা চাওয়ার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল গেরুয়া শিবির। এই গোটা ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা তোপ দেগেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। (আরও পড়ুন: একই পোশাকে ১ মাসের ওপরে কাটাল সঞ্জয়, গায়ের দুর্গন্ধে নাজেহাল তদন্তকারীরা)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবে পালিত জিন্নার মৃত্যুজয়ন্তী, ভারতকে বলা হল বিষধর সাপ
আরও পড়ুন: 'আদানি যোগ' থাকা ২৬০০ কোটি বাজেয়াপ্ত সুইস ব্যাঙ্ক থেকে? বিস্ফোরক হিন্ডেনবার্গ
রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণী রাজ্যের কোয়েম্বাটুর শহরে ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। শহরের নাম করা ব্যবসায়ীদেরও সেই সম্মেলনে ডাক পড়েছিল। সেই সম্মেলনেই জনসমক্ষে জিএসটির জটিল অঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন 'শ্রী অন্নপূর্ণা' নামক নিরামিষ রেস্তোরাঁর মালিক শ্রীনিবাসন। তিনি বলেছিলেন, 'বিভিন্ন জিনিসে বিভিন্ন হারে জিএসটি দিতে হয়। মিষ্টির ওপর ৫ শতাংশ, নমকিনের ওপরে ১২ শতাংশ, সাদা বানের ওপর ০ কিন্তি ক্রিম বান হলে ১৮ শতাংশ। এই বিভিন্ন হারে জিএসটি গণনা করতে এবং ক্রেডিট ইনপুট খুঁজে বের করতে খুবই কষ্ট হয়। তা শুধু ব্যবসায়ীদের জন্যেই নয়, ট্যাক্স আধিকারিকদের জন্যেও কষ্টকর।' সেই সময় এই কথা শুনে স্টেজে থাকা নির্মলা সীতারামন নাকি হেসে ফেলেন। তবে পরে সেই ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় নির্মলার ঘরে। সেখানে নাকি তিনি ক্ষমা চান অর্থমন্ত্রীর কাছে। বিজেপি সেই ভিডিয়ো ভাইরাল করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। (আরও পড়ুন: থ্রেট কালচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে শাস্তি পাওয়া চিকিৎসক পেলেন 'পুরস্কার'!)
আরও পড়ুন: প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর একবছর পর বিয়ে কল্পনা দাসকে, CJI-এর অর্ধাঙ্গিনী বাঙালিই নন!
আরও পড়ুন: CBI জেরার মুখে তৃণমূলের চিকিৎসক MLA, কী বললেন উত্তরবঙ্গ লবির অন্যতম 'মুখ'?
এই আবহে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিজেপিকে তোপ দেগেছেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে কংগ্রেস সাংসদ লেখেন, 'অন্নপূর্ণা রেস্তোরাঁর মতো ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিক যখন সরল জিএসটির দাবি জানাচ্ছেন, তখন তাঁর সেই আবেদনকে অপমান করা হয়েছে চূড়ান্ত দাম্ভিক মনোভাবের সঙ্গে। কিন্তু যখন কোনও কোটিপতি শিল্পপতি বন্ধু কোনও নিয়ম বদল করতে বলে, তখন দেশের আইন বদলে লাল কার্পেট বিছিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমাদের দেশের ছোট ব্যবসাগুলি এমনিতেই নোট বাতিলের মতো ঘটনার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ব্যাঙ্কিং সিস্টেম, ট্যাক্স তোলাবাজি এবং বিপর্যয়মূলক জিএসটিও এই ক্ষতির কারণ। আর এখন তাঁদের অন্তত অপমান তো করা উচিত নয়। কিন্তু যখন ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের ভঙ্গুর অহংকারে আঘাত লাগে, তখন মনে হয় অপমানই তাদের একমাত্র জবাব। এমএসএমই কয়েক বছর ধরে স্বস্তি চেয়ে আসছে। এই অহংকারি সরকার জনগণের কথা শুনলে তারা বুঝবে যে একক করের হার সহ সরল জিএসটি লক্ষ লক্ষ ব্যবসায়ীর সমস্যার সমাধান করবে।' (আরও পড়ুন: আরজি কর আন্দোলনের মাঝে CJI-কে নিয়ে ভাইরাল ভুয়ো পোস্ট, এবার মুখ খুলল শাহের পুলিশ)
এদিকে কংগ্রেসের আইটি সেল প্রধান সুপ্রিয়া শ্রীনাতে নিজের পোস্টে নির্মলাকে তোপ দেগে বলেন, 'এটা তাদের অহংকারের উদাহরণ। এখানে একজন ব্যবসায়ী তাঁর উদ্বেগের কথাও বলতে পারে না। এটা তামিলনাড়ুর গর্বের উপর সরাসরি আক্রমণ, যা সহ্য করা হবে না। এই বিজেপি পেরিয়ারের দেশে ছাপ ফেলতে যে ব্যর্থ হয়েছে, তাতে আর আশ্চর্য হওয়ার কী আছে। ম্যাডাম অর্থমন্ত্রী, জনজীবনে থাকা মানে অভিযোগ শোনা এবং অভিযোগকারীদের ভয় না দেখিয়ে সমাধান প্রদান করা।'