Corona-র দ্বিতীয় ওয়েভে এখন তুঙ্গে সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ধরনের ওষুধের লিস্ট ঘুরছে। আবার অনেকে নিজেদের প্রেসক্রিপশনও শেয়ার করছেন।
তবে, বাস্তবে প্রত্যেক রোগী আলাদা। তাঁর বয়স, করোনার জটিলতা, কো-মর্বিডিটি, শারীরিক সক্ষমতা ইত্যাদি আরও অনেক বিষয় খুঁটিয়ে দেখে তবেই প্রেসক্রিপশন লেখেন চিকিত্সকরা। তাই করোনায় কেবলমাত্র চিকিত্সকের প্রেসক্রিপশন দেখে ওষুধ গ্রহণই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
তাই অন্য কেউ সেই ওষুধ ব্যবহার করলেই যে আপনার ক্ষেত্রেও তা কার্যকর হবে, এমন কোনও মানে নেই। উল্টে হিতে বিপরীত হতে পারে।
প্যারাসিটামল :
সাধারণত জ্বর ও গা-হাত-পা যন্ত্রণার সময়ে প্যারাসিটামল ব্যবহার করা হয়। তবে, চিকিত্সকের নির্দিষ্ট করে দেওয়া ডোজের বিধির বাইরে অতিরিক্ত না খাওয়াই ভাল। এমনটাই জানালেন মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালের চিকিত্সক ডঃ ল্যানসেট পিনটো।
তাঁর কথায়, 'করোনার প্রভাব কমছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের অন্যতম দিক হল জ্বর ফিরে আসছে নাকি তা লক্ষ্য করা। ফলে পর পর প্যারাসিটামল খেলে জ্বর ফিরে আসছে কিনা তা বোঝাই যাবে না।'
রেমেডিসিভির :
কেন্দ্রের গাইডলাইন অনুযায়ী রেমেডিসিভির হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মাইল্ড রোগীদের জন্য নয়। তাছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যবেক্ষণ ছাড়া এটির প্রয়োগও একেবারেই বিধিসম্মত নয়। তাই চিকিত্সকদের নির্দেশ ছাড়া এটি নিজে নিজে ব্যবহার করা নৈব নৈব চ।
অ্যান্টিবায়োটিক :
কোভিড ট্রিটমেন্টে ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু কোভিডের সময়ে দ্বিতীয় কোনও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশানের ক্ষেত্রে অনেক সময়ে প্রয়োগ করা হয়। তবে, অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ খুবই পরিমিতভাবে করতে হয়। তাই চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহারের প্রশ্নই ওঠে না।
Ivermectin :
অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক ওষুধ। ট্রায়ালে এখনও কোভিডের বিরুদ্ধে কার্যকারিতার প্রমাণ হয়নি। যদিও ল্যাবে এর কার্যকারিতা প্রমাণ হয়েছে। বহু ফেসবুক টোটকায় এই ওষুধের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। তবে, চিকিত্সক না বললে এটি ব্যবহার না করাই ভাল।
অ্যান্টিভাইরাল :
lopinavir-ritonavir, remedisivir, favipiravir-এর মতো অ্যান্টিভাইরালের কথাও বলছেন অনেকে। কিন্তু এগুলিও সেল্ফ মেডিকেশনের জন্য একেবারেই নয়। বর্তমানে খুব বেশি ব্যবহারও করা হচ্ছে না।