মধ্যপ্রদেশের অভয়ারণ্যে চিতা ছাড়া হয়েছে। এবার বক্সায় বাঘের সংখ্য়া বৃদ্ধিতে নয়া উদ্য়োগ। আন্তর্জাতিক মানের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসে মতামত নেওয়া হবে। গ্লোবাল টাইগার ফোরাম, ন্যাশানাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির আধিকারিকরা ও বিশেষজ্ঞরা এই বক্সায় আসবেন। মূলত টাইগার রিপ্রোডাকশন ও অগমেনটেশন প্রকল্পের আওতায় বাঘের সংখ্যাবৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হবে বক্সায়। রাজ্যের মুখ্য বনপাল সৌমিত্র দাসগুপ্ত শনিবার বক্সায় এসেছিলেন। এদিন তিনি বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
এদিকে বক্সার জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে একাধিক বনবস্তি। সেই বনবস্তিগুলি অন্য়ত্র সরানোর ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। তবে এদিন তিনি জানিয়ে দেন, ২৫ বছর ধরে বক্সায় আসছি। সবুজের পরিমাণ বেড়েছে দেখালাম।
তিনি বলেন, বক্সা টাইগার রিজার্ভ ভারতের অন্য়তম টাইগার রিজার্ভ। এখানে বাঘের সংখ্য়া যতটা হওয়া উচিত তা আমারা দেখতে পাই না। টাইগার কনজারভেশন নিয়ে যারা কাজ করেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্বের নামকরা বাঘ বিশেষজ্ঞকে আসার অনুরোধ করেছি। টাইগার আনাটা সহজ কাজ নয়। কতদিনের মধ্যে টাইগার অগমেনটেশন করা যায় সেব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
অর্থাৎ বাঘের সংখ্য়া বৃদ্ধি করাটাই এখন বনদফতরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কোর এরিয়ায় যাতে কোনওভাবেই পশুদের সমস্য়া না হয় সেটাই দেখা হবে। কোর এরিয়াকে খালি করার চেষ্টা করা হবে। আমাদের সম্পূর্ণ প্রোগ্রামটা সফল করতে অনেকটা সময় লাগবে। কোথাও যাতে বাঘেদের বিরক্ত করা না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে। জানিয়েছে পদস্থ আধিকারিক।
তিন চার সপ্তাহের মধ্যে বিশেষজ্ঞরা আসবেন। চিতা আনার আগে গত দুবছর ধরে কাজ হয়েছে। সেরকমই বাঘ আনার আগে পরিবেশটা ঠিক করতে হবে। সেটার কাজই শুরু হবে।