আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তারপরেই কালীপুজো, দীপাবলি এবং ভাইফোঁটা। সুতরাং আগে পড়ছে আলোর উৎসব। বাজি ফাটানোর উপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তাই বেশিরভাগ মানুষই এবার শব্দবাজি থেকে সাধারণ বাজি ফাটাতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে বিকল্প পথ হিসাবে বেছে নিতে চেয়েছেন আলোক মালায় সাজিয়ে তুলতে বাড়ি–ঘর। কিন্তু এখানেও কেন্দ্রীয় সরকার নয়া পথ ধরার নিদান দিয়েছেন।
এখন ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক অহি–নকুল। বারবার বৈঠকে বসলেও কোনও রফাসূত্র বেরিয়ে আসেনি। বরং দুই দেশের সংঘাত অনিবার্য অবস্থায় রয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একে অন্যের দিকে বন্দুক তাক করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতবাসী যাতে চিনের তৈরি প্রদীপ বা সস্তার আলোর সরঞ্জাম না কেনেন তাই কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেশীয় জিনিস কিনে আলোর রোশনাইয়ে ভাসতে পরোক্ষভাবে বার্তা দেওয়া হল।
বস্ত্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে চাররকমের স্টিকার তৈরি করা হয়েছে। আর তা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বাজারে ছেনে দেওয়া হয়েছে। এক, প্রথম ছবিতে প্রদীপ রাখা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ভারতের হাতে তৈরি জিনিস কিনুন। দুই, কাপড়ের ছবি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, হ্যান্ডলুমের জিনিস কিনুন আর দীপাবলিতে উপহার দিন। তিন, ওড়ার ছবি দিয়ে বলা হয়েছে স্থানীয় জিনিস কিনুন। আর চার, ভারতের হস্তশিল্প জিনিস কিনুন। তার হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা হয়েছে, লোকাল ফর দিওয়ালি।
উল্লেখ্য, লাদাখে চিনের বর্বরোচিত ঘটনার পর থেকেই একের পর এক কড়া পদক্ষেপ করেছে ভারত। তাদের একাধিক অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতের মাটিতে। তখন থেকেই আওয়াজ উঠে চিনের জিনিস ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আক্রমণ নেমে আসে ভারতে থাকা চিনের নাগরিকদের উপর। এমনকী লাদাখ সীমান্তে বাড়িয়ে দেওয়া হয় সেনাবাহিনী। আকাশসীমায় চক্কর কাটতে থাকে রাফাল। এবার তার সাম্প্রতিক সংযোজন দীপাবলি পালন হোক দেশের তৈরি জিনিসে।