আর একদিন পরই বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আর তার প্রাক্কালে উত্তরবঙ্গ সফরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে যাওয়ার আগে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জেতানোর আবেদন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং বিজেপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে নির্বাচন কমিশন বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। গতকাল নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাতে গিয়ে কোনও কর্তার সঙ্গে দেখা হয়নি। তবে আজ, সোমবার নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইমেল করে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন কর্তারা। তবে সাক্ষাতের সময় নিয়েই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ আজ সন্ধ্যায় রাজ্যের ৬টি আসনের উপনির্বাচনের প্রচারের সময়সীমা শেষ হবে। তার মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে সাক্ষাৎ করে লাভ কী? প্রশ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের। এই বিষয়টি নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাকেত গোখলে। গতকাল সুকান্ত মজুমদারের কার্যকলাপ নিয়ে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। তবে আজ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুকান্ত মজুমদারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আজ রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে নালিশ করতে যান কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা এবং জয়প্রকাশ মজুমদার। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য নিয়ে সেন্সর করার দাবি জানান। আর আজ সাকেত গোখলে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘রাজ্যের ৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি বিষয় সম্পর্কে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে অবগত করতে গত ৮ নভেম্বর সময় চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কোনও জবাব মেলেনি। তাই ৯ নভেম্বর সকাল পর্যন্ত আমরা ফলো আপ করেছি। ওই দিনই দলের রাজ্যসভা এবং লোকসভার নেতা–সহ পাঁচজনের প্রতিনিধি দল দিল্লি রওনা হয়। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও জাতীয় নির্বাচন কমিশন আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেনি। তাই শুধুমাত্র স্মারকলিপি জমা দিয়েই ফিরে আসতে হয়।’
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল কংগ্রেস ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকে, ভোটটা দেবেন’, আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর
এছাড়া সাকেত গোখলের দাবি, রাজ্যে পাঠানো কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রশাসনের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করছে না। ঘরে ঘরে ঢুকে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য ভয় দেখাচ্ছে। সাকেত গোখলের কথায়, ‘মোদী সরকারের এক মন্ত্রী এসে বাংলার পুলিশকে উর্দিতে চটির লোগো লাগাতে বলছেন। আজ বিকেলে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী প্রচার শেষ হচ্ছে। আর এখন ঘুম ভাঙল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের? আমরা স্তম্ভিত। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে এটা মেনে নেওয়া যায়? জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মনে রাখা উচিত, তাদের দায়িত্ব অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করানো। বিজেপির রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে কাজ করা নয়।’