তিনি মোটেও দেশ ছেড়ে দুবাই পালিয়ে যাননি। বরং, শীঘ্রই ভারতে ফেরার তোড়জোড় করছেন। তাঁর দুবাই পালানো নিয়ে যে জল্পনা শুরু হয়েছে, তাতে জল ঢালতে এমনটাই দাবি করলেন বাইজু'স এডটেক ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও বাইজু রবীন্দ্রন।
চার বছরের মধ্যে এই প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাইজু রবীন্দ্রন। তিনি জানান, তাঁর দেশ ছেড়ে পাকাপাকিভাবে দুবাইয়ে বসবাস করা নিয়ে যেসমস্ত কথা বলা হচ্ছে, তার পুরোটাই গুজব। যা শুরু হয়েছিল বাইজুসের হাঁড়ির হাল সামনে আসতেই।
একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে রবীন্দ্রন তাঁর ও তাঁর সংস্থার বর্তমান দুর্দশার জন্য বিনিয়োগকারীদেরই দায়ী করেছেন এবং জানিয়েছেন তিনি ও তাঁর সংস্থা ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ভারত ছেড়ে দুবাই চলে যান বাইজু রবীন্দ্রন। তারপর থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'মানুষ ভাবছে, আমি দুবাইয়ে পালিয়ে এসেছি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয়। মানুষের মনে হয়েছে, আমি বাধ্য হয়েছি দুবাই পালিয়ে আসতে। আমি দুবাইয়ে এসেছি, এখানে রয়েছি, কারণ - আমার বাবার এখানে চিকিৎসা চলছে। তার জন্যই আমাদের এখানে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু, আমি একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই। আমি মোটেও পালিয়ে এখানে আসিনি।'
রবীন্দ্রনের সংস্থার বিরুদ্ধে ভারতে একাধিক মামলা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, সংস্থার ভাঁড়ারে কোনও অর্থ নেই বলেও দাবি করা হচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের ব্যাখ্য়া, এখন ভারত থাকলে রবীন্দ্রনকে এই সমস্ত ঝামেলা সামলাতে হত। উপরন্তু, তাঁর উপর সংস্থার গ্রাহকরাও চটে রয়েছেন। ফলত, তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও সেই দাবি নিজেই নস্যাৎ করে দিলেন রবীন্দ্রন।
সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে ৪৪ বছরের এই উদ্যোক্তার প্রতিশ্রুতি, 'আমি ভারতে ফেরত আসব এবং আমি স্টেডিয়াম পূর্ণ করব।... কবে আমি দেশে ফিরব, সেটা এখনও পর্যন্ত স্থির করিনি। তবে, আমি শীঘ্রই ফিরব।'
রবীন্দ্রন তাঁর দুবাইয়ের বাড়ি থেকে ওই ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন। তিনি বলেন, 'সমস্তটা ফের ঠিক করার জন্য আমার শুধুমাত্র ১ শতাংশ সম্ভাবনা দরকার। যে নির্দেশই জারি করা হোক না কেন, আমি তা নিয়ে চিন্তিত নই। যে সমস্যাই আসুক না কেন, আমি ঠিক সমাধানের পথ খুঁজে বের করব।'
খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভারতজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছিল রবীন্দ্রনের হাতে গড়া সংস্থা বাইজু'স। সামান্য কোচিং সেন্টার থেকে এডটেক ফার্মে উত্তরণ ঘটেছিল সংস্থার। একটা সময় যার বাজারদর ছিল ২,২০০ কোটি মার্কিন ডলার। আজ সেই সংস্থারই মূল্য শূন্য!