দেশের ৬ রাজ্যের ৭ টি আসনে রবিবার ছিল উপনির্বাচনে ভোট গণনার দিন। ভোটের সর্বমোট ফলাফলে বিজেপি মোট ৪ টি আসনে জিতেছে। আর বাকি আঞ্চলিক দলগুলি ৩ টি আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। একাধিক জায়গায় হয়েছে টানটান উত্তেজনার লড়াই। বিহারে যেমন ছিল শক্তি পরীক্ষার লিটমাস টেস্ট, তেমনই উত্তর প্রদেশে শাসকদল নিজের জমি ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। মহারাষ্ট্রের অন্ধেরি পূর্বে উদ্ধব ঠাকরের প্রার্থীর জয় কার্যত নিশ্চিতই ছিল। দেখে নেওয়া যাক এই উপনির্বাচনের ফলাফল।
উল্লেখ্য, তেলাঙ্গানার জন্য এই উপনির্বাচন ছিল টিআরএসের শক্তি পরীক্ষার লড়াই। যে রাজ্যে বিধানসভা ভোট আসন্ন পরের বছর। সেখানে মুনুগোড়ে আসনটি কংগ্রেসের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তেলাঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি বা টিআরএস। তেলাঙ্গানার এই আসনে বিজেপির রাজাগোপালা রেড্ডিকে টিআরএসের কুসুকুন্তলা প্রভাকর রেড্ডি ১০ হাজারের মতো ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন।
বিহারে গোপালগঞ্জ আসনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কার্যত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলেছে বিজেপির কুসুম দেবীর সঙ্গে আরজেডির মোহন কুমার গুপ্তার। ভোটের পার্থক্য ছিল ১৭৯৪। অন্যদিকে, মোকামার প্রাক্তন বিধায়ক অনন্ত সিংয়ের স্ত্রী নীলব দেবী গড় ধরে রাখছেন আরজেডির হয়ে। বিহারে সরকারের রাজনৈতিক ঘরানা বদলের পর এই উপনির্বাচন কার্যত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল সব দলের কাছেই।
উত্তর প্রদেশের গোলা কোরারনাথে সমাজবাদী পার্টির বিনয় তিয়ারিতে বিজেপির অমন গিরি ৩৪ হাজার ২৯৮ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন। ফলে ছেলে অমন ফের একবার তাঁর প্রয়াত বাবা বিজেপির অরবিন্দ গিরির আসন দখলে রেখেছেন।
বিজেপি কার্যত রণহুঙ্কার দিয়েছে ওড়িশার ধামনগরে। সেখানে ২৭ বছরের বিজেপি প্রার্থী সূর্যবংশী সূরজ বিজেডির অবন্তী দাসকে ৯,৮৮১ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন। এলাকায় এর আগে বিজেপির বিধায়ক বিষ্ণুচরণ শেঠি ছিলেন বিধায়ক। তাঁর পুত্রই জিতে নিলেন এই আসন।
কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে হরিয়ানার অদমপুর আসনটি থেকে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন কুলদীপ বিষ্ণোই। তাঁর ছেলে ভাব্য বিষ্ণোই ওই আসনের প্রার্থী হন। আর এই উপনির্বাচনে ভাব্য, কংগ্রেসের জয় প্রকাশকে ১৫ হাজার আসনে হারিয়েছেন। উল্লেখ্য, তিনবারের সাংসদ জয়প্রকাশের মতো কঠিন প্রার্থীকে হারানোয় ভাব্যর জয়কে এলাকায় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের অন্ধেরি পূর্বে শিবসেনার উদ্ধব শিবিরের প্রার্থী ছিলেন ঋতুজা লাটকে। সেখানে প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। রমেশ লাটকের স্ত্রী ঋতুজা লাটকে এই আসনে ৬৬,৫৩০ ভোটে জয়লাভ করেন ঋতুজা।