জগদীপ ধনখড়ের পর অবশেষে স্থায়ী রাজ্যপাল পেল পশ্চিমবঙ্গ। নয়া রাজ্যপাল হিসেবে প্রাক্তন আমলা সিভি আনন্দ বোসকে নিয়োগ করা হল। পদবি বোস হলেও নয়া রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা নন। কেরলের কোট্টায়ামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, 'পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে ডক্টর সিভি আনন্দ বোসকে নিয়োগ করা হচ্ছে।' তবে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন, তা এখনও নির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি। যেদিন থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, সেদিন থেকে অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে লা গণেশনের মেয়াদ শেষ হবে। যিনি মণিপুরের রাজ্যপাল আছেন।
প্রাক্তন আমলাকে রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। যিনি পশ্চিমবঙ্গের অস্থায়ী রাজ্যপাল গণেশনের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। শুভেন্দু বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় রাজ্যপাল হিসেবে আইএএস (অবসরপ্রাপ্ত) ডক্টর সিভি আনন্দ বোসকে নিয়োগ করার বিষয়টিকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। প্রখ্যাত আমলা হিসেবে কর্মজীবনে উনি অনেক কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।'
সম্প্রতি গণেশনের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সুসম্পর্ক’ তৈরি হয়েছে। মমতার বাড়ির কালীপুজোয় গিয়েছিলেন গণেশন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অস্থায়ী রাজ্যপাল। গণেশনের দাদার জন্মদিনে চেন্নাইয়েও গিয়েছিলেন মমতা। পরবর্তীতে রাজভবনে গিয়ে গণেশনের সঙ্গে দেখা করতে না পারায় বিজেপির নেতা-নেত্রীরা উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন। সেই ঘটনার পরপরই স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে প্রাক্তন আমলা সিভি আনন্দ বোসকে নিয়োগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭ ব্যাচের কেরল ক্যাডার আইএএস অফিসার কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে জেলাশাসক, মুখ্যসচিব, সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। স্বল্প-মূল্যের আবাসন প্রকল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যিনি ২০১৮ সালে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তারপর থেকে একাধিক উপদেষ্টা পদে কর্মরত ছিলেন। আপাতত মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। উত্তর-পূর্ব ভারতে একাধিক প্রকল্প চালু করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রকে সহায়তা করেছেন।