বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ভারতীয়দের জন্য নয় নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি-র সঙ্গে সিএএ-র কোনও সম্পর্ক নেই- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ফলে কোনও ভারতীয় নাগরিকের অসুবিধা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সংবিধানে যে অধিকার দেওয়া আছে ভারতীয় মুসলমান সহ সবাই সেগুলি ভোগ করতে পারবেন বলে মন্ত্রক জানিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে যে লোকজনদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। ধর্মীয় নির্যাতনের ফলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে যে সব হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও ক্রিশ্চানরা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪র আগে এই দেশে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এই আইন। এছাড়া অন্য কোনও ব্যক্তির জন্য এই আইন প্রযোজ্য নয় বলে স্বরাষ্টমন্ত্রক জানিয়েছে। সিএএ-র সঙ্গে বিদেশিদের দেশ থেকে বিতাড়ন করার কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছে মন্ত্রক।

ভারতে কোনও বিদেশি থাকতে পারবেন কিনা, সেটা ঠিক হয় ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৯৪৬ ও পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯২০-র মাধ্যমে। এই আইনের মাধ্যমেই বিচার করা হবে। অন্য কোনও দেশ থেকে আসা মুসলমানদের ক্ষেত্রে সিএএ-র কোনও ভূমিকা নেই বসে জানান হয়েছে।

অসমে বিদেশি চিহ্নিত করার পদ্ধতি ফরেনার্স আইন অনুযায়ী হয় বলেই জানিয়েছে মন্ত্রক। আবেদন করলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা মুসলমানরাও ভারতীয় নাগরিক হতে পারবে বলে জানিয়েছে সরকার। বর্তমানে এই সংক্রান্ত আইন সিএএ আসার পরেও চালু থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এই নিয়মের মাধ্যমে তিন দেশ থেকে আসা শয়ে শয়ে মুসলমানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সমস্যা মেটানোর পর ১৪,৮৬৪ বাংলাদেশী ভারতীয় নাগরিকত্ব হন। এদের মধ্যে বড় অংশ মুসলমান বলে মন্ত্রক জানিয়েছেন। সিএএ-র পরেও পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ছাড়া অন্য দেশে নির্যাতিত হিন্দুরা কোনও বিশেষ সুবিধা পাবেন না নাগরিক হওয়ার জন্য।

সিএএ আদপে কোনও ভারতীয় নাগরিকদের জন্যে খাটেই না, বলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এটি বিদেশিদের বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য বানানো আইন। সিএএ-র সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এনআরসি করার জন্য আইনি উপায় ২০০৪ সাল থেকেই নাগরিকত্ব আইনে আছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ভারতীয় নাগরিকদের রেজিস্ট্রেশন করা ও তাদের আইডি কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া সেভাবেই চালানো হয় বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।

বন্ধ করুন