এনসিসি-র বার্ষিক অনুষ্ঠানে গিয়েও সিএএ ও কাশ্মীর নিয়েই মূলত বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঐতিহাসিক অবিচারকে শুধরানোর জন্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) আনা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘুদের করা পুরোনো প্রতিশ্রুতি সিএএ-র মাধ্যমে পূর্ণ করা গিয়েছে, বলেন মোদী।
পাকিস্তানে যারা ধর্মের ভিত্তিতে নির্যাতিত হচ্ছে,তাদের কী সাহায্য করা উচিত নয়, সিএএ বিরোধীদের প্রশ্ন করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে যারা এই সব সিদ্ধান্তে সাম্প্রদায়িক রং চড়ানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের চিনে ফেলেছে দেশবাসী।
কাশ্মীরে তিন-চারটি পরিবার মিলে সমস্যা জিইয়ে রাখা হত বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরফলে সন্ত্রাসবাদ ওখানে মাথা চাড়া দিয়ে উঠিছিল বলে মনে করেন তিনি। আগের সরকারগুলি নিস্ক্রিয় ছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সার্জিকাল স্ট্রাইক প্রসঙ্গে মোদী বলেন যে সেনা যখন কোনও অপারেশন করতে চাইত, তাদেরকে করতে দেওয়া হত না।
তিন তালাক ও ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির সঙ্গে বোড়ো চুক্তিকেও নিজের সরকারের বড়ো কৃতিত্ব বলে মনে করেন মোদী। উত্তরপূর্বের আশা-আকাঙ্খাকে সরকার পূর্ণ করতে পেরেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এনসিসি ক্যাডেটদের মোদী বলেন যে রাষ্ট্রের যুবাদের ইচ্ছাশক্তি থাকলে সেই দেশের উন্নয়নের পথে চলা নিশ্চিত। শুধু নবীন বয়সে নয়, চিন্তাভাবনাতেও হতে হবে, বলে জোর দেন মোদী।