ভারতের উদ্বাস্তুদের সম্মান দিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ)। বছর শেষের বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘অনির্বাচনী’ সভায় একথাই বললেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা অমিত শাহ।
রবিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে 'বিহার জনসংবাদ র্যালি'-র আয়োজন করেছিল বিজেপি। শুরুতেই শাহ বলেন, 'আমি কোটি কোটি করোনা যোদ্ধাকে স্যালুট জানাতে চাই। যাঁরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে। স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ এবং অন্যান্য (করোনা যোদ্ধাদের) অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই ভার্চুয়াল র্যালি কোনও নির্বাচনী বা রাজনৈতিক সভা নয়। করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সারাদেশের মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে আসার র্যালি এটা।'
যদিও কিছুটা পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিভিন্ন ‘সাফল্য’ তুলে ধরেন শাহ। প্রত্যাশামতোই ‘সাফল্য’-এর খতিয়ানে আসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। শাহ বলেন, ‘মোদীজি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে এসেছিলেন। এই আইন ভারতের উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দিয়েছে এবং সম্মান দিয়েছে।’
তবে সিএএ নিয়ে যে বিজেপি জোরকদমে প্রচার চালাবে, তা স্পষ্টই ছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মাঝে কিছুটা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিজেপির রব কমেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় প্রথম বর্ষপূর্তির দিন মোদীর চিঠিতে সরকারের 'সাফল্য'-এর তালিকায় ঠাঁই পাওয়ার পর সিএএ নিয়ে প্রচার আরও বাড়বে। বিশেষত বিহারের ভোট মিটে যাওয়ার পর সামনের বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট। সেখানে সিএএ নিয়ে প্রচার আরও তুঙ্গে তোলার আগে বিজেপি বিহারে প্রস্তুতিটা সেরে রাখছে বলে রাজনৈতিক মহলের।