বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ‘CAA ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তবে কোনও দরকার ছিল না’

‘CAA ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তবে কোনও দরকার ছিল না’

কেন ভারত এই আইন তৈরি করল, তা নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলছি না। তবে এর কোনও প্রয়োজন ছিল না। সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই আইনের কারণে ভারতীয়রা ‘বহু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন’ বলেও মন্তব্য করেছেন হাসিনা।

সম্প্রতি ‘গাল্ফ নিউজ’ পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সিএএ সম্পর্কে এই প্রথম প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ভারতের এই আইন বাংলাদেশে যথেষ্ট উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সংসদে আইন পাশ হওয়ার পরে ভারত সফর বাতিল করেছেন সে দেশের তিন মন্ত্রী।

হাসিনা বলেছেন, ‘কেন ভারত এই আইন তৈরি করল, তা নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলছি না। তবে এর কোনও প্রয়োজন ছিল না।’

তবে সিএএ-এর জেরে ভারত থেকে অভিবাসনের কোনও ঢেউ এখনও বাংলাদেশে এসে পৌঁছয়নি বলেও জানিয়েছেন প্রতিবেশী দেশের নেত্রী। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এর জেরে ভারতে বেশ কিছু মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি দিল্লি।

সদ্য পাশ করা সিএএ ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব প্রদান প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করবে।

এই আইনে পাকিস্তানের সঙ্গে পংক্তিভূত হওয়ায় প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন বাংলাদেশের নেতারা। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিগ্রহের ঘটনা সবই হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে ঘটেছে।

বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় ১০.৭% সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত এবং তাঁদের মধ্যে ১.৬১ কোটি হিন্দু। ভারতের মুসলিমরা নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পেলে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে চাইবেন বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা।

এই সমস্ত কারণ বিচার করেই সেখ হাসিনা সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘(তবু) এটা ওদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সিএএ ও এনআরসি যে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তা বরাবরই বলে এসেছে বাংলাদেশ। ভারত সরকারও বার বার বলেছে যে, এনআরসি একটি অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া এবং ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে দিল্লি সফরে আমাকে নিজে এই বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।’

এই প্রসঙ্গে হাসিনা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক খুবই ভালো এবং বহু বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার আবহ জারি রয়েছে।

বরং মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী যে বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা তৈরি করেছে, সে সম্পর্কে কোনও রাখঢাক করেননি আওয়ামি লিগ নেত্রী।

ঘরে বাইরে খবর

Latest News

IPL 2024: RCB-র সেরা রেকর্ড ভেঙে চুরমার, SRH-কে কি বলে শুভেচ্ছা দিল কোহলির দল ‘মির্জা’র হয়ে গলা ফাটাবেন দেব-জিৎ! অঙ্কুশের ছবির ট্রেলার লঞ্চে থাকছেন আর কারা? ভারতের মুকুটে নয়া পালক, প্রথম উড়ানে সফল 'মেড ইন ইন্ডিয়া' মার্ক ১এ যুদ্ধবিমান অঞ্জলি চক্র এবং সুফি মালিক কারা? বিয়ের আগেই কেন বিচ্ছেদ হল তাঁদের ED তার কাজ করছে, আমি আমার কাজ করছি, হাজিরা এড়িয়ে হুঙ্কার মহুয়ার লোকসভার আগে মহাজোটে ভাঙন ধরিয়ে পঞ্চায়েত দখল করে নিল তৃণমূল Heart Care: এই ফলটি হার্টের নাকি খুব ভালো! আপনি কি এটি খান? আজ শেষ হচ্ছে রাজ্য সরকারি অর্থবর্ষ, চাপে পড়ে গিয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে, বড় তথ্য ফাঁস করল তৃণমূল কঙ্গনাকে ‘যৌনকর্মী’ বলার শাস্তি? সুপ্রিয়াকে লোকসভা ভোটের টিকিট দিল না কংগ্রেস!

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.