কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের জল্পনা তুঙ্গে রয়েছে। এই সপ্তাহেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে এধিন নিজের বাসভবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 'লাইভ হিন্দুস্তান'-এর খবর অনুযায়ী এদিন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নির্মলা সীতারমন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এবং আরও বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর উপস্থিত থাকবেন।
লাইভ হিন্দুস্তানের খবর অনুযায়ী, ১৮ জন নতুন মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভায় যোগ করা হতে পারে। এর আগে সোমবারই অমিত শাহ এবং দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপরই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের জল্পনা আরও বাড়ে। মনে করা হচ্ছে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের উপর ফোকাস রেখে এই রদবদল করা হতে পারে।
এদিকে সূত্রের খবর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকেছেন। এদিকে মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এই হেভিওয়েট নেতা কংগ্রেস জমানায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকেছেন। এদিকে মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ সরকারের পতনের মূলে ছিলেন তিনি। এর ফল স্বরূপ তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হতে পারে বল মনে করা হচ্ছে। জায়গা পেতে পারেন বৈজন্ত পাণ্ডাও। এদিকে বাংলা থেকে নিশীথ প্রমাণিকের নাম নিয়েও চর্চা হচ্ছে। ব্যারাকপুরের অর্জুন সিং, বিষ্ণুপুরের সৌমিত্র খাঁ ও হুগলির লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম নিয়েও জোর চর্চা হচ্ছে।a
এদিকে বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদীকেও করা হতে পারে মন্ত্রী। সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতি থেকে তাঁকে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সরিয়ে আনা হয়েছে। করা হয় রাজ্যসভা সদস্য। এদিকে বর্তমানে এনডিএ শরিক দলগুলির মধ্যে থেকে মন্ত্রীর সংখ্যা মাত্র এক। এই আবহে জেডিইউ থেকে দুই জনকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এলজেপিকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া নাও হতে পারে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ৫৩ জন মন্ত্রী রয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী ৭৯ জন মন্ত্রী রাখা যায়। এই আবহে আরও বেশিজনকে ক্যাবিনেটে এনে দায়িত্ব বণ্টন করা হতে পারে। এখন মোদীর ক্যাবিনেটে ২১ জন মন্ত্রী রয়েছেন। তাছাড়া ৯ জন স্বতন্ত্র দায়িত্ব প্রাপ্ত রাজ্যমন্ত্রী এবং ২৯ জন রাজ্যমন্ত্রী আছেন। সকল মন্ত্রী এবং তাদের মন্ত্রকের রিভিউ হয় বেশ কয়েকদিন ধরে। সেই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে চূড়ান্ত কাঁটাছেঁড়ার পরই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।