ভারতীয় সামরিক বাহিনীর আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলল সিএজি। Comptroller and Auditor General (CAG) তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলেছে এয়ারফোর্সের Mi-17 হেলিকপ্টারের আধুনিকীকরণ হয়নি যার ফলে সীমিত ক্ষমতায় উড়ছে সেগুলি। খারাপ পরিকল্পনার কারণে এই অবস্থা বলে জানিয়েছে সিএজি।
২০০২ সালে এই ফ্লিটের আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এরপর সিদ্ধান্তহীনতা ও খারাপ পরিকল্পনার জেরে ১৫ বছর লেগে যায় এই কপ্টারগুলিকে আপগ্রেড করার বরাত এক ইজরায়েলি সংস্থাকে দেওয়ার জন্য, বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সিএজি। ২০১৮ সালে কাজ শুরু হয়ে ২০২৪ সালে কাজ শেষ হবে। কিন্তু তারমধ্যে ৫৬টি কপ্টারের আয়ু মাত্র দুই বছর থাকবে ও ২০২৪ সালে তারা অবসর নেবে। সব মিলিয়ে ৯০টি Mi-17 কপ্টারের আপগ্রেড করা হচ্ছে।
আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল, অর্থাৎ দ্রোনের এয়ারো ইঞ্জিন কেনার ক্ষেত্রে নানান অসঙ্গতি ধরা পড়ছে বলে জানিয়েছে সিএজি-র তিনটির মধ্যে একটি রিপোর্ট।
অন্য রিপোর্টে সিএজি বলেছে রাফালের ক্ষেত্রে ডাসল্ট ও এমবিডিএ এখনও ডিআরডিওকে প্রযুক্তিগত তথ্য প্রদান করেনি। ৫৯ হাজার কোটির রাফাল চুক্তির একটি বড় অংশ ছিল এই ট্রান্সফার অফ টেকনোলজি। আদৌ এটি হবে কি না, সেই নিয়ে প্রশ্ন করেছে সিএজি।
এছাড়াও অফসেট কন্ট্র্যাক্টে যা লেখা আছে, সেই অনুযায়ী অনেক চুক্তিতে কাজ হচ্ছে না বলেও জানিয়েছে সিএজি। অফসেট নীতি অনুযায়ী ৩০০ কোটির ওপর চুক্তি হলে, বিদেশি ভেন্ডরকে ৩০ শতাংশ অন্তত ভারতে ইনভেস্ট করতে হবে। রাফালের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ লগ্নি করার কথা আছে।
আরেকটি রিপোর্টে নৌবাহিনীর শক্তি কতটা বৃদ্ধি হচ্ছে ,সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সিএজি। এখানেও লাল ফিতের ফাঁসের কথা তুলে ধরেছে অডিটররা। বর্তমানে ভারতের ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ডক আছে তা যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছে সিএজি। এইগুলির মাধ্যমেই অস্ত্রশস্ত্র, বাহিনী ও কপ্টার প্রয়োজনে সমুদ্রপথে কোনও যুদ্ধে পাঠাতে পারবে ভারত।
এই রকম যুদ্ধজাহাজ অক্টোবর ২০১০ সালে কেনার কথা ছিল ১৬ হাজার কোটি টাকায়। দশ বছর কেটে গেলেও সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। নৌবাহিনীর কাছে যথেষ্ট সংখ্যক ফ্লিট ট্যাঙ্কারও নেই বলে জানিয়েছে সিএজি। এই সংক্রান্ত ২০১৪ সালে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও অগস্ট ২০১৯ অবধি প্রক্রিয়া শেষ হয় নি।