দেশের প্রযুক্তিবিদ্যার পীঠস্থান হিসাবে ধরে নেওয়া হয় আইআইটিগুলিকে। এই প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেতে প্রতি বছর কয়েক লাখ ছাত্রছাত্রী কার্যত যারপর নাই চেষ্টা চালিয়ে যান। তবে ক্যাগের সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেশের নতুন ৮ টি আইআইটি নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৮-০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের নতুন ৮ টি আইআইটি, পরিকাঠামো থেকে শুরু করে প্রশাসনিক দিক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছে। সর্বোপরি এই আইআইটিগুলির পারফরম্যান্স খুবই খারাপ বলে জানানো হয়েছে ক্যাগের রিপোর্টে।
ক্যাগের রিপোর্ট বলছে, এই আইআইটিগুলিতে পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে। এছাড়াও এখানে যতগুলি শূণ্যস্থান রয়েছে , সেগুলি পূর্ণ হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, এখানে অধ্যাপক সংখ্যাও অপ্রতুল, রয়েছে কম সংখ্যক গবেষণাপত্র। সংরক্ষিত ক্যাটেগোরিতে ছাত্র ভর্তির সংখ্যাও এই আইআইটিগুলিতে অনেকটাই কম। যে সমস্ত আইআইটি এই খারাপ পারফরম্যান্সের তালিকায় রয়েছে তারা হল, আইআইটি ভুবনেশ্বর,আইআইটি গান্ধীনগর, আইআইটি হায়দরাবাদ, আইআইটি পাটনা, আইআইটি ইন্দোর, আইআইটি যোধপুর,আইআইটি মান্ডি, আইআইটি রোপার। উল্লেখ্য, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এই আইআইটিগুলির বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্যাগের রিপোর্ট। গত সপ্তাহে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ক্যাগের এক রিপোর্ট পেশ করা হলে, এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে। অডিট রিপোর্টে উঠে এসেছে, এই আইআইটিগুলিতে শুরুর ছয় বছর পরও প্রত্যেকটিতে প্রায় ২,৩৬০ জন পড়ুয়ার স্থানই পূর্ণ হচ্ছে না। তবে এই ৮টি আইআইটির মধ্যে কেবলমাত্র আইআইটি হায়দরাবাদ সামান্যভাবে ছাত্রভর্তিতে কার্যকরী ফলাফল পেয়েছে।
রিপোর্ট বলছে, আইআইটিগুলির স্নাতক পরবর্তীস্তরে এখনও ২৮ শতাংশ আসন খালি রয়েছে। আটটির মধ্যে দেশে ৩ টি আইআইটি গবেষণাভিত্তিক পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। দেখা গিয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ভুবনেশ্বর আইআইটিতে ৮০ শতাংশ পিএইচডি আসন খালি। গান্ধীনগর আইআইটিতে ৬৪ শতাংশ খালি রয়েছে পিএইচডি আসন। আইআইটি হায়দরাবাদে খালি রয়েছে ১৭ শতাংশ পিএইচডি আসন। ক্যাগের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে যে সংখ্যক পড়ুয়া রয়েছেন ওই আইআইটিগুলিতে, তার তুলনায় অধ্যাপকের সংখ্যাও অপ্রতুল রয়েছে। সবমিলিয়ে এই ৮ আইআইটি নিয়ে খুব একটা সুখকর বার্তা দিচ্ছে না ক্যাগের রিপোর্ট।