হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল বণিক সংগঠন Confederation of All India Traders। এদের সদস্য সংখ্যা প্রায় ছয় কোটি। তাঁদের অভিযোগ যে নিজেদের প্রাইভেসি পলিসির মাধ্যমে ৪০ কোটি মানুষকে ঠকাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। প্রসঙ্গত, ৪ জানুয়ারি হোয়াটসঅ্যাপ জানায় যে সমস্ত বিজনেস অ্যাকাউন্টের সঙ্গে হওয়া কথা ফেসবুকের সঙ্গে শেয়ার করা হবে। যারা এতে রাজি হবেন না তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। প্রবল জনরোষের জেরে যদিও হোয়াটসঅ্যাপ আপাতত ১৫ মে অবধি এই পলিসি চালু করবে না বলে জানিয়েছে।
এই পলিসি লাগু করার বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছে সিএআইটি। তাদের দাবি এই নয়া নীতি মানুষের রাইট টু প্রাইভেসি যেটা সংবিধানের ২১ ধারা অনুযায়ী আছে, সেটাকে ভঙ্গ করে। একই ভাবে আইটি অ্যাক্টের ধারা লঙ্ঘিত হয় বলেও দাবি হোয়াটসঅ্যাপের।
পিটিশনকারীদের দাবি যে হোয়াটসঅ্যাপের যেরকম একচেটিয়া বাজারে দখল, অনেককে বাধ্য হয়ে এই প্রাইভেসি পলিসিতে সম্মতি দিতে হচ্ছে নিজেদের গোপনীয়তাকে খেসারত দিয়ে।
পলিসিতে বলা হয়েছে যে ২০১৬ সালে প্রথম বার হোয়াটসঅ্যাপ বলে যে তারা ফেসবুকের সঙ্গে ডেটা শেয়ার করবে বিজ্ঞাপন বিষয়ক। কিন্তু সেখানে অপ্ট আউট অপশন ছিল। অর্থাৎ চাইলে আপনি ডেটা শেয়ার নাও করতে পারেন। কিন্তু বর্তমান পলিসিতে সেই বিকল্প নেই বলেই পিটিশনে দাবি করা হয়েছে।
বণিক সংগঠন চায় যে সুপ্রিম কোর্ট যেন হোয়াটসঅ্যাপকে নিরস্ত করে ডেটা শেয়ার করা থেকে। সরকারকে আইন করে হোয়াটসঅ্যাপকে নিয়ন্ত্রণ করার দাবিও জানিয়েছে তারা। তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়া জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থের পরিপন্থীও বলে সংগঠন নিজেদের পিটিশনে দাবি করেছে।
ইউরোপে সরকার প্রাইভেসি আইনের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপকে নিয়ন্ত্রণ করলেও ভারতে তা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে সংগঠনের দাবি। প্রাইভেসি সংক্রান্ত আইন এনে সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা উচিত বলে সংস্থা মনে করে।