সাম্প্রতিক সময়ে কাজাখস্তান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর এবার বিমান ভেঙে পড়ল আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায়। বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি বাণিজ্যিক ভবনে একটি ছোট বিমান ভেঙে পড়ে। এতে কমপক্ষে দুই জন নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়। লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ফুলারটন মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরের কাছে বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনার কারণ অবশ্য এখনও অজানা। (আরও পড়ুন: গোয়েন্দা রিপোর্টের কারণে হিন্দুদের BCS থেকে বাদ? এবার নয়া দাবি বাংলাদেশ সরকারের)
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকল মায়ানমার সেনা সদস্যরা!
আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুকে কি রীতিমতো 'ভয়' পাচ্ছে ইউনুস সরকার? তাদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে...
তদন্তকারীরা এখনও জানেন না যে নিহতরা বিমানের যাত্রী ছিল নাকি তারা সেই ক্ষতিগ্রস্ত বিল্ডিংয়ের শ্রমিক ছিলেন। এই দুর্ঘটনায় আহত ১০ জন হাসপাতালে ভরতি আছেন আপাতত। বাকি ৮ জনকে ঘটনাস্থলেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনার টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ছাদে একটি ফাঁকা গর্ত। সেখান দিয়ে গলগল করে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি একটি একক-ইঞ্জিন ওয়ানের আরএভি-১০ ছিল। চার আসনের এই বিমানর দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। (আরও পড়ুন: এই মাসেই ফাঁসি, 'কথা বলার' আস্বাস, নিমিশার স্বামী বললেন- 'লাস্ট মিনিট পার্ডন...')
আরও পড়ুন: ১০ বছর মার্কিন সেনায় থাকা জব্বরের সঙ্গে চলে পুলিশের গুলির লড়াই, দেখুন ভিডিয়ো
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বোয়িংয়ের বিমান। বিমানটি 'ক্র্যাশ ল্যান্ডিং' করে। এর জেরে সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায় বিমানে। বিমানটি প্রায় পুরোপুরি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এই ঘটনায় মাত্র ২ জনকেই জীবিত বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে বিমানের বাকি ১৭৯ জন। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিমানটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ফিরছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, জেজু এয়ারের বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া জেজু এয়ারের বিমানটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ছিল। ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ ল্যান্ডিং গিয়ারের জেরে বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং বিমানবন্দরের বাউন্ডারি দেওয়ালে গিয়ে ধাক্কা মারে। (আরও পড়ুন: এখনও নেই কোনও নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন, এই হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস কী? এর উপসর্গ কী?)
এর আগে কাজাখস্তানের আকতাউয়ের কাছে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমান ভেঙে পড়েছিল ৬৭ জন যাত্রীকে নিয়ে। সেই দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বাকি যাত্রীরা গুরুতর ভাবে আহত হন সেই ঘটনায়। আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় চেচনিয়া অঞ্চলের গ্রোজনিতে যাচ্ছিল আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট জে২-৮২৪৩। নির্ধারিত রুট থেকে কয়েকশ মাইল দূরে কাজাখস্তানের আকতাউ থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে কাস্পিয়ান সাগরের তীরে এই বিমানটি ভেঙে পড়েছিল। পরে দাবি করা হয়, রাশিয়ার তরফ থেকে গুলি করে বিমানটিকে ভূপাতিত করা হয়েছিল। এদিকে জানা যায়, বিমানটি কুয়াশার জেরে কাস্পিয়ান সাগর পেরিয়ে কয়েকশ মাইল দূরে সরে গিয়েছিল নিজের নির্ধারিত রুট থেকে।