আবারও গণহত্যার সাক্ষী থাকল আমেরিকা। বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ায় গুলি করে আটজন সহকর্মীকে গুলি করলেন ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোস রেল ইয়ার্ডের এক কর্মী। পরে নিজেও আত্মঘাতী হন তিনি। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে কী কারণে ওই ব্যক্তি গুলি চালিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বুধবার সকাল ৬ টা ৩০ মিনিট নাগাদ (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) ভ্যালি ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (ভিটিএ) রেল পরিষেবার কাজে ব্যবহৃত জায়গার দুটি বাড়িতে সেই গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকায় সবথেকে জনবহুল কাউন্টি সান্তা ক্লারায় বাস, রেলের মতো পরিষেবা দেয় ভ্যালি ট্রান্সপোর্ট অথরিটি। জেলার অ্যাটর্নি জেফ রসেন জানান, খুব সম্ভবত বৈঠক চলছিল। সেই সময় গুলি চালানো হয়েছে।
সান্তা ক্লারা কাউন্টির শেরিফ লরি স্মিথ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘যখন আমাদের লোকজন দরজা দিয়ে ভিতরে ঢোকেন, তখনও আততীয়া গুলি চালাচ্ছিলেন। আমাদের লোকজনদের দেখতে পেয়ে আত্মঘাতী হন।’ তিনি জানিয়েছেন, সেই সময় আততায়ী জানতেন যে তাঁর গুলি শেষ হয়ে গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, আততায়ীর বয়স ৫৭-এর মতো। তবে ভ্যালি ট্রান্সপোর্ট অথরিটির তরফে মৃত বা আহতদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
তারইমধ্যে শেরিফের উপ-মুখপাত্র রাসেল ডেভিস জানিয়েছেন, গুলি চালনার ঠিক আগে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডেরও তদন্ত করে দেখছেন আধিকারিকরা। রেকর্ড অনুযায়ী, আততায়ীর দু'তলা বাড়ি ছিল। সেখানে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছায় দমকল বাহিনী।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে মার্কিন মুলুকে গণহত্যার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। একটি সংবাদসংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১৫ টি গণহত্যার ঘটনার সাক্ষী থেকেছে আমেরিকা। মৃত্যু হয়েছে ৮৫ জনের। যেখানে গত বছর ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাও কোনও ঘটনায় কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হলে সেটিকে গণহত্যা হিসেবে ধরা হয়েছে। তা থেকে স্পষ্ট যে আরও প্রকৃতপক্ষে গুলি চালানোর ঘটনার সংখ্যা আরও বেশি।