নরেন্দ্র মোদী সরকারের নতুন মন্ত্রীরা কাজ শুরু করেছেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ শুক্রবার অফিসে তাঁর নতুন সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তাঁরই কলেজে পড়া এক ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে দেখা হয় রেলমন্ত্রীর। তিনি এখন রেলের উচ্চপদস্থ ইঞ্জিনিয়ার। আলাপচারিতার এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভাইরাল এই ভিডিয়োয়, অশ্বিনী বৈষ্ণকে তাঁর দফতরের সহকর্মীদের উত্সাহ দিতে দেখা যায়। তিনি বলেন, 'দুর্দান্ত কাজ হবে, অনেক মজাও হবে'। এদিকে, রেল মন্ত্রকের এক কর্মচারী জানান, নতুন রেলমন্ত্রী যে কলেজে পড়েছেন, তাঁদের এক ইঞ্জিনিয়ারও সেই কলেজেই পড়েছেন।
এরপরেই সেই ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে দেখা করেন অশ্বিনী বৈষ্ণ। দুজনে আলিঙ্গন করতে দেখা যায়। এরপর মজার ছলে বলেন, 'আমাদের কলেজে তো সিনিয়রকে বস বলতে হত। আমাকেও বস বলবে কিন্তু!' সবাই হাসতে শুরু করেন রেলমন্ত্রীর মস্করায়।
যোধপুরের এমবিএম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে স্নাতক হন অশ্বিনী বৈষ্ণ। ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গোল্ড মেডেলিস্ট ছিলেন তিনি। এরপর আইআইটি কানপুর থেকে এম টেক করেন। ১৯৯৪ সালে আইএএস পরীক্ষায় দেশে ২৭ স্থান অধিকারী করেন।২০০৪ সাল নাগাদ তিনি তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আপ্ত সহায়ক ছিলেন। ২০০৬ সালে মারগাও পোর্ট ট্রাস্টের ডেপুটি চেয়ারম্যান হন।
২০০৮ সালে পড়াশোনার জন্য ছুটি নেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়া থেকে এমবিএ করেন তিনি। কিন্তু এর জন্য বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। দেশে ফিরে তিনি বুঝতে পারেন, আইএএস-এর বেতনেও সেই ঋণ পরিশোধ দীর্ঘকালীন ব্যাপার। ২০১০ সালে তিনি আইএএস-এর চাকরি ছেড়ে দেন। যোগ দেন জিই ট্রান্সপোর্টেশন-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদে। এরপর ইলেকট্রনিক্স সংস্থা সিমেন্সের গুরুত্বপূর্ণ দফতরে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ সামলান।
২০১২ সালে তিনি বেসরকারি ক্ষেত্রের উচ্চপদস্থ চাকরিও ছেড়ে দেন। গুজরাতে দুটি গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা স্থাপন করেন অশ্বিনী। দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেলমন্ত্রী প্রথমেই অফিসের সময় পরিবর্তন করেন। নতুন আদেশ অনুযায়ী এখন রেল মন্ত্রকের কর্মচারীদের দুই শিফটে কাজ করতে হবে। রেলমন্ত্রীর কার্যালয়ের জারি করা আদেশ অনুযায়ী প্রথম শিফট সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত। অন্যদিকে, দ্বিতীয় শিফট দুপুর ৩ টে থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত চলবে।