থুপ্পল মান্ডি, থুপ্পল বিরিয়ানি। এমন নানা কথা ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর মালায়লমে থুপ্পল কথার অর্থ থুতু। আর এনিয়েই যত কাণ্ড। বহু হোটেলে ফোন আসছে, যেটা দিচ্ছেন সেটা থুতু মুক্ত তো? খানিকটা হকচকিয়েই যাচ্ছেন হোটেল কর্তারা। বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রুপের তরফেও এধরনের নেতিবাচক প্রচার চলছে বলে অভিযোগ। বলা হচ্ছে এসব নাকি হালাল খাবারের বিপক্ষে প্রচার। কিন্তু কেন এমন হল?
আসলে আরএসএস প্রভাবিত সবরীমালা কর্মসমিতির তরফে গত সপ্তাহে কেরল হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছিল যে হালাল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে স্যালাইভা অত্যন্ত জরুরী। এটি নাকি মুসলিম স্কলাররাই বলছেন। এমনটাই ভিত্তিহীন দাবি করা হয়েছিল। পাশাপাশি সংগঠনের আহ্বায়ক এসজে আর কুমার জানিয়েছিলেন, দেশি গুড় থেকে যে প্রসাদ তৈরি হচ্ছে সেখানেও থুতু থাকছে যা পূণ্যার্থীদের কাছে আপত্তিজনক। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, এই দেশি গুড় পশ্চিম এশিয়ার দেশেও পাঠানো হয়। এদিকে পরে দেখা যায় সেই সরবরহকারী আবার পুনের এক শিব সেনা নেতা। এরপর থেকেই হালাল খাবারের বিরুদ্ধে তুমুল প্রচার শুরু হয়েছে। এদিকে বিজেপি নেতা পি সুধীরের দাবি, জনসমক্ষে ওই হালাল বোর্ড টাঙানোর কোনও মানে হয় না। ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে এসব বন্ধ হওয়া দরকার। এদিকে হালালের পক্ষে ও বিপক্ষেও জনমত তৈরি হচ্ছে ক্রমশ। যার ফল ভুগতে হচ্ছে হোটেল, রেস্টুরেন্টের মালিকদের।