বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ‘ভারতকে বলতে ভয়ে মরে যায়!’ পাকিস্তানকে ‘নির্দেশ’ দেওয়ায় একাধিক দেশকে তোপ ইমরানের

‘ভারতকে বলতে ভয়ে মরে যায়!’ পাকিস্তানকে ‘নির্দেশ’ দেওয়ায় একাধিক দেশকে তোপ ইমরানের

ইমরান খান। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক Imran Khan)

ইমরান খান বলেন, ‘আমার ওঁদের চাকর নাকি যে ওদের কথা মতো রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেব!’

পাকিস্তানকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন ২২ টি দেশের দূত। তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি জানান, ওই দূতদের নাকি প্রশ্ন করেছিলেন যে ভারতকে সেই কথা বলতে পারতেন। ইমরানের কটাক্ষ, ‘ভারতকে বলতে ভয়ে মরে যায়।’

নিজের কুর্সি বাঁচাতে রবিবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মলকনাদ জেলায় ইমরান দাবি করেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশ-সহ ২২ টি দেশের দূত রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধে পাকিস্তানকে মস্কোর বিরুদ্ধে ভোট দিতে বলেছিলেন। যে কাজটা করে ওই দূতরা ‘প্রোটোকল’ ভেঙেছিলেন বলে দাবি করেন ইমরান। তাঁর কথায়, ‘আমি ওঁদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনি ভারতকে কি এটা বলতে পারবেন। ভারতকে বলার সময় (ভয়ে) মরে যান এঁরা। আমার ওঁদের চাকর নাকি যে ওদের কথা মতো রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেব!’

রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ইউক্রেনের যুদ্ধে নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল, তাতে সমর্থনের জন্য পাকিস্তানকে আর্জি জানিয়েছিলেন ২২ দেশের দূতরা। চলতি মাসের শুরুতেই ফ্রান্স, বেলজিয়াম, স্পেন, জার্মানি, জাপান-সহ ২২ টি দেশের দূতদের স্বাক্ষর করা যৌথ বিবৃতিতে সেই আর্জি জানানো হয়েছিল। যদিও রাশিয়ার বিপক্ষে যায়নি পাকিস্তান। ভোটদান থেকে বিরত ছিল ইসলামাবাদ। একই কাজ করেছিল ভারত। সেই পরিস্থিতিতে রবিবার নিজের ক্ষোভ উগরে দেন ইমরান।

তিনি দাবি করেন, আগের সরকারগুলির জন্যই এরকম অবস্থা হয়েছে। নিজেকে ‘নয়া পাকিস্তানের’ ধারক-বাহক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন ইমরান। তাঁর আমলে পাকিস্তান কখনও বিদেশি শক্তির কাছে মাথা নত করেননি বলেও দাবি করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। দাবি করেন, অতীতে আমেরিকার সঙ্গে মাথা নত করে নিত ইসলামাবাদ। বিদেশি শক্তির মুখের উপর কিছু বলতে পারত না পাকিস্তান।

সেইসঙ্গে ভারতের বিদেশ নীতিরও প্রশংসা করেন ইমরান। তিনি বলেন, 'আমরা একটি স্বাধীন দেশ চাই। আমার দেশের বিদেশ নীতি আমার দেশের লোকেদের কল্যাণের জন্য হবে। আজ আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতের প্রশংসা করছি। ওদের বিদেশনীতি সবসময় স্বাধীন থেকেছে। আজ ওদের সঙ্গে (আমেরিকা) জোটে আছে। কোয়াডের মধ্যে আমেরিকা জোটসঙ্গী হয়ে আছে। নিজেদের নিরপেক্ষ বলে থাকে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি করছে। কারণ নিজেদের নাগরিকদের কল্যাণের জন্য তৈরি হয়েছে ভারতের নীতি।'

বন্ধ করুন