অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য
কানাডা থেকে কয়েকজন ভারতীয় পড়ুয়াকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশকে ঘিরে তুমুল শোরগোল। এবার এনিয়ে হাউস অফ কমন্সের সভাতে মুখ খুললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্ুরডেয়ু। তিনি সাফ জানিয়েছেন, আমাদের সরকার অপরাধীদের চিহ্নিত করার কাজে ফোকাস করছে। ভিক্টিমদের জরিমানার করার কোনও কাজ আমাদের সরকার করছে না।
সংসদে সেখানকার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমরা গভীরভাবে জানি যে আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের বের করে দেওয়ার জন্য চিঠি দিচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনায় যারা অপরাধী, তাদের চিহ্নিত করার কাজ করছে সরকার, সমস্যায় পড়া পড়ুয়াদের জরিমানা করার কোনও ব্যাপার নেই।
এদিকে সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, যারা এই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন তারা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারেন। তাঁদের বক্তব্যের পেছনে যুক্তিগুলি উল্লেখ করতে পারেন। প্রতিটি কেস আমরা বিবেচনা করে দেখছি। যাঁরা এই প্রতারণার শিকার তাঁদের পাশে সরকার রয়েছে। প্রসঙ্গত কানাডার কলেজে ভর্তি করানোর নাম করে নানা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ভারত সহ আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের একাংশ। অভিযোগ এমনটাই। তার জেরে তাঁদের পক্ষে কানাডায় থাকা সমস্যার হয়ে যাচ্ছে।
তবে সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন বিষয়ক হাউস স্ট্যান্ডিং কমিটি বুধবার সন্ধ্যায় একটি মোশন পাশ করে জানিয়েছে, যাদের দেশ থেকে নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে তারা যাতে থেকে যেতে পারে ও স্থায়ীভাবে থাকতে পারে তার রাস্তাও তৈরি করা হচ্ছে।
এদিকে ইমিগ্রেশন, রিফিউজি ও সিটিজেনশিপ বিষয়ক মন্ত্রী সিয়ান ফ্রাসার টুইট করে জানিয়েছেন, নিরাপরাধ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এই ধরনের প্রতারণার ঘটনাগুলি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে বিবেচনা করা হবে । এই কেসগুলি এতটাই জটিল যে আমরা কানাডিয়ান বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করছি। সমস্য়ার সমাধানের জন্য় তাঁর দফতর কাজ করে যাচ্ছে। মূলত কলেজে ভর্তির ভুয়ো চিঠি তাদের দেওয়া হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই বেকায়দায় পড়েছেন প্রচুর পড়ুয়া।
এদিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জলন্ধরের এক এজেন্ট ব্রিজেশ মিশ্র তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। তাদের ফার্মের নাম এডুকেশন অ্যান্ড মাইগ্রেশন সার্ভিসেস অস্ট্রেলিয়া।
এদিকে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের দাবি, আমরা ন্যায় বিচার চাইছি। আমাদের কোনও দোষ নেই। আমরা প্রতারণার শিকার। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও ক্রিমিনাল লেভেল নেই। কিন্তু তবুও কানাডা ছাড়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।