বিগত কয়েক মাস ধরেই খলিস্তানি ইস্যুতে ভারতকে তোপ দেগে আসছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এরই মাঝে বিভিন্ন সময়ে কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দুদের বিরুদ্ধে খলিস্তানিরা হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী দিওয়ালির আবহে কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে খলিস্তানিপন্থী লোকজনের বিরুদ্ধে। এই সবের মাঝেই অবশ্য নিজের দিওয়ালি বার্তায় জাস্টিন ট্রুডো দাবি করলেন, গত কয়েক মাসে তিনটি হিন্দু মন্দিরে গিয়েছেন তিনি।
দিওয়ালি উপলক্ষে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। সেখানে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন হিন্দু মন্দিরে গিয়েছেন তিনি। সেখানে হাতে পবিত্র সুতো পরেছেন পুরোহিতের থেকে। সেই ভিডিয়োর ক্যাপশনে ট্রুডো লেখেন, 'বিগত কয়েক মাসে তিনটি হিন্দু মন্দিরে গিয়েছি আমি। সেখানেই এই ব্রেসলেটগুলি পরেছি আমি। এই ব্রেসলেটগুলি সৌভাগ্যের প্রতীক। এবং এগুলি আমাকে রক্ষা করবে।' এদিকে ট্রুডোর পোস্ট করা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে মন্দিরে তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মগ্ন। সেখানে ট্রুডোকে এক থালা জিলিপিও খেতে দেওয়া হয়। সেখানে আবার ট্রুডোকে বলতে শোনা যায়, 'আমি আমার টিমের জন্যে বাঁচিয়ে রাখব এই মিষ্টিগুলো।'
এর আগে দিওয়ালি উপলক্ষে এক বিবৃতি প্রকাশ করে সম্প্রতি ট্রুডো বলেছিলেন, 'ভারতীয়-কানাডিয়ান সম্প্রদায় ছাড়া কানাডায় দিওয়ালি ভাবাই যায় না। কানাডার সেরাটাকে তুলে ধরেন এই ভারতীয়-কানাডিয়ানরা। তাঁরা এই দেশে শিল্পী, ব্যবসায়ী, ডাক্তার। হিন্দু কানাডিয়ানদের জন্যে দিওয়ালি খুব বিশেষ একটি উপলক্ষ। নভেম্বরে আমরা কানাডায় হিন্দু হেরিটেজ মাস পালন করি। আমরা হিন্দু কানাডিয়ানদের পাশে সবসময় আছি। তাঁরা এখানে স্বাধীন ভাবে তাঁদের ধর্ম পালন করতে পারবেন।'
এদিকে এত কিছউর মাঝেই অভিযোগ উঠেছে, কানাডার অন্টারিওর ব্র্যাম্পটন (গ্রেটার অন্টারিও এলাকা) হিন্দু মন্দিরে ঢুকে আসে খলিস্তানিরা। সেখানে দর্শনার্থীদের ওপর নাকি হামলা চালায় তারা। কানাডার সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল টেলিগ্রাফ সাংবাদিক ড্যানিয়েল ব্রডম্যান সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করেছেন, তাতে দেখা গিয়েছে যে হাতে খলিস্তানি পতাকা নিয়ে কয়েকজন একটা জায়গার মধ্যে ঢুকে এসে মারধর করছে। লাঠি নিয়ে ছুটে এসে আরও কয়েকজন হামলা চালাচ্ছে। তারইমধ্যে এক মহিলাকে চিৎকার করতে শোনা যায়। যে মন্দিরে খলিস্তানিপন্থী লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যেখানে ৫৫ ফুট উঁচু হনুমান মূর্তি আছে। উল্লেখ্য, এমনিতেই ব্র্যাম্পটনে খলিস্তানিপন্থীদের দাপট আছে। আর এই মন্দিরে হনুমানজির প্রতিমা স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়েছিল এর আগে।