ব্র্যাম্পটনে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় উস্কানি ছড়ানোর অভিযোগে এক পুরোহিতকে সাসপেন্ড করা হল। এই নিয়ে ব্র্যাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন সেই হিন্দু পুরোহিতের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, 'বেশিরভাগ শিখ কানাডিয়ান এবং হিন্দু কানাডিয়ান মিলেমিশে থাকতে চায় এবং সহিংসতা সহ্য করে না।' জানা গিয়েছে, সাসপেন্ড হওয়া পুরোহিতের নাম মধুসূদন লামা। উল্লেখ্য, ব্র্যাম্পটনের মন্দিরে খলিস্তানি হামলার পর সেখানে আগত ভক্তরা পালটা স্লোগান তুলেছিলেন। সেখানে ভিডিয়োতে (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখা গিয়েছিল, এক পুরোহিত মেগাফোন নিয়ে কিছু বলছেন। যদিও সাসপেন্ড হওয়া পুরোহিতই ভিডিয়োর সেই পুরোহিত কি না, তা স্পষ্ট নয়। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হিন্দুদের ইস্যুতে ট্রাম্প কি এবার কিছু করবেন? সামনে এল বড় দাবি)
আরও পড়ুন: খলিস্তানিদের তাণ্ডবের আবহে নিজেদের 'অকর্মণ্য' প্রমাণ কানাডার, বড় পদক্ষেপ ভারতের
এদিকে ব্র্যাম্পটনের মেয়র দাবি করেন, হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিল অন্টারিও শিখ ও গুরুদ্বার কাউন্সিল। প্যাট্রিক ব্রাউন দাবি করেন, হিংসাত্মক ঘটনা ঘটলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পদক্ষেপ করবে। কিন্তু কোনও সাধারণ মানুষ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। এর আগে ব্র্যাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন দাবি করেছিলেন, প্রার্থনাস্থলের সামনে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তিনি একটি প্রস্তাবনা পেশ করবেন সিটি কাউন্সিলে। এই নিয়ে তিনি শহরের সলিসিটরদের পর্যালোচনা করতে বলেছেন বলেও জানান। আগামী সিটি কাউন্সিলের বৈঠকে এই সংক্রান্ত আইনি ধারার বৈধতা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে দাবি করেছিলেন প্যাট্রিক। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে হারাতে দিয়েছিলেন চাঁদা? US ভোটের ফল নিয়ে কী বললেন বাংলাদেশের ইউনুস?)
আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা ইস্যুতে হাতাহাতি, কুস্তির আখড়ায় পরিণত জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা
উল্লেখ্য, ব্র্যাম্পটনের মন্দিরের সামনে খলিস্তানিদের বিক্ষোভ প্রদর্শন থেকেই হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। এই আবহে অভিযোগ ওঠে, মন্দির চত্বরে ঢুকে দর্শনার্থীদের ওপর চড়াও হয় কট্টরপন্থী শিখরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে দাবি করা হয়। তবে ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, খলিস্তানিরা পতাকা নিয়ে ঢুকে পড়ে মন্দির চত্বরে। সেখানে দর্শনার্থীদের পতাকার লাঠি দিয়েই মারতে শুরু করে তারা। ভাইরাল ভিডিয়োতে হামলাকারী খলিস্তানিদের আটকাতে দেখা যায়নি পুলিশকে।
পরে হিন্দু সভার মন্দিরে হামলা চালানোর ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়ে এক পুলিশ অফিসারের। রিপোর্ট অনুযায়ী, পিল রিজিওনাল পুলিশের সার্জেন্ট হরিন্দর সোহি হামলাকারীদের মধ্যে ছিলেন। এক ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায়, তিনি ভারত বিরোধী খলিস্তানি স্লোগান তুলছেন। এই আবহে হরিন্দরকে পুলিশ সারজেন্ট পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিকে এই প্রসঙ্গে পিল পুলিশ দফতরের মুখপাত্র রিচার্ড চিন জানিয়েছিলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।