ব্র্যাম্পটনে হিন্দু মন্দিরে ঢুকে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে খলিস্তানিদের বিরুদ্ধে। এই আবহে এবার কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটার ঘোষণা করলেন ব্র্যাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন। তিনি দাবি করেছেন, সিটি কাউন্সিলে তিনি শীঘ্রই প্রস্তাব পেশ করবেন যাতে প্রার্থনাস্থলের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ হয়। এই নিয়ে তিনি শহরের সলিসিটরদের পর্যালোচনা করতে বলেছেন। আগামী সিটি কাউন্সিলের বৈঠকে এই সংক্রান্ত আইনি ধারার বৈধতা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। (আরও পড়ুন: মাদ্রাসে দাদুর থেকে গণতন্ত্রের জন্যে লড়াইয়ের গুরুত্ব শিখেছি: কমলা হ্যারিস)
আরও পড়ুন: ৫০০ কোটি খরচের ঘোষণা মন্ত্রীর, কেন্দ্রের থেকে বেশি ডিএ বাড়ল রাজ্যে
আরও পড়ুন: AQI ১৯০০ পার, লাহোরের বাতাসে 'বিষ'! ভারতকে 'দুষল' পাকিস্তান
উল্লেখ্য, ব্র্যাম্পটনের মন্দিরের সামনে খলিস্তানিদের বিক্ষোভ প্রদর্শন থেকেই হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। এই আবহে অভিযোগ ওঠে, মন্দির চত্বরে ঢুকে দর্শনার্থীদের ওপর চড়াও হয় কট্টরপন্থী শিখরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে দাবি করা হয়। তবে ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, খলিস্তানিরা পতাকা নিয়ে ঢুকে পড়ে মন্দির চত্বরে। সেখানে দর্শনার্থীদের পতাকার লাঠি দিয়েই মারতে শুরু করে তারা। ভাইরাল ভিডিয়োতে হামলাকারী খলিস্তানিদের আটকাতে দেখা যায়নি। এদিকে অপর এক ঘটনায় সারে-র লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে খলিস্তানি এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মুখোমুখি বিক্ষোভ দেখা যায়। সেই ঘটনায় তিন হিন্দুকে জোরপূর্বক গ্রেফতার করতে দেখা যায় সারে পুলিশকে।
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয়কে কেন আড়াল করেছিলেন অভিজিৎ? 'মোটিভ' পেল সিবিআই?
কানাডার ব্র্যাম্পটনে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এই নিয়ে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন, 'ব্র্যাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। সব কানানিয়ান নাগরিকেরই স্বাধীন ভাবে এবং নিরাপদে নিজের ধর্ম পালনের অধিকার আছে। আমি পিল রিজিওনাল পুলিশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা খুব দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং ঘটনার তদন্ত করছে।'
এদিকে এই নিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতীয় হাইকমিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, 'টরন্টোর কাছে ব্রাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরের সাথে মিলে কনস্যুলার ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল ভারতীয় হাইকমিশন। সেখানে আজ ভারত বিরোধীরা এসে হিংসাত্মক হামলা চালায়। রুটিন কনস্যুলার কাজে এই ধরনের ব্যাঘাত ঘটতে দেখে আমরা খুবই হতাশ। এদিকে ভারতীয় নাগরিক এবং স্থানীয় যে ব্যক্তিরা এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের আবেদন জানান, তাঁদের নিরাপত্তার জন্যও খুব উদ্বিগ্ন আমরা। এদিকে ভারতবিরোধীদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমাদের কনস্যুলেট ১০০০ জনেরও বেশি ভারতীয় এবং কানাডিয়ান আবেদনকারীদের জীবন শংসাপত্র ইস্যু করতে সক্ষম হয়েছিল।'