কানাডায় পূর্ব নির্ধারিত কনস্যুলার ক্যাম্প বাতিল করল ভারত। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে দিওয়ালির আবহে ব্র্যাম্পটনের হিন্দু সভার মন্দিরে এই ধরনেরই একটি ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল ভারতীয় দূতাবাস। এই আবহে সেখানে হামালা চালিয়েছিল খলিস্তানিরা। এই আবহে এবার কানাডার প্রশাসন ভারতীয় দূতাবাসকে জানাল, তারা এই ধরনের ক্যাম্পে ন্যূনতম নিরাপত্তাও দিতেও পারবে না। এই আবহে ভারতীয় দূতাবাসও পূর্বনির্ধারিত ক্যাম্পগুলি বাতিল করে দিল। এই ক্যাম্পগুলি থেকে প্রবাসী ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডাবাসীদের লাইফ সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে ভারতীয় দূতাবাস। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে হারাতে দিয়েছিলেন চাঁদা? US ভোটের ফল নিয়ে কী বললেন বাংলাদেশের ইউনুস?)
আরও পড়ুন: ডিএ বৃদ্ধি রাজ্যের IAS-IPSদের, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের কর্মীরা পাবেন বকেয়া মহার্ঘ ভাতা
আরও পড়ুন: ট্রাম্প পত্নীকে নিয়ে 'কুরুচিকর মজা' সিংভির, 'সেক্স টেপ' নিয়ে খোঁচা তরুণজ্যোতির
এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেলের তরফ থেকে লেখা হয়, 'নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি ন্যূনতম সুরক্ষাও দিতে পারবে না কমিউনিটি ক্যাম্প আয়োজকদের। এই আবহে কনস্যুলেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে পূর্বনির্ধারিত কিছু শিবির বাতিল করা হবে।' এর আগে কানাডার হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় মুখ খুলেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তা পোস্ট করে মোদী লিখেছিলেন, 'কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ইচ্ছাকৃত ভাবে এই হামলার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছি আমি। আমাদের কূটনীতিকদের যেভাবে কাপুরুষোচিত ভাবে ভয় দেখানো হয়েছে, তাতেও আমি হতবাক। এই ধরনের হিংসার ঘটনা কখনও ভারতের দৃঢ় সংকল্পকে টলাতে পারে না। আমরা আশা করছি, কানাডা সরকার এর বিচার করবে এবং আইনের শাসন বজায় রাখবে।' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হিন্দুদের ইস্যুতে ট্রাম্প কি এবার কিছু করবেন? সামনে এল বড় দাবি)
আরও পড়ুন: আমেরিকায় কমলার হার, ট্রাম্পের জয়... কী বললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুন্দর-সত্যরা?
আরও পড়ুন: প্রথমদিনে মাত্র ১২% সাবস্ক্রিপশন, 'গ্রে মার্কেটে' সুইগির শেয়ারের দাম এখন কত?
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কানাডার অন্টারিওর ব্র্যাম্পটন (গ্রেটার অন্টারিও এলাকা) হিন্দু মন্দিরে হামলার অভিযোগ ওঠে খলিস্তানিদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার এক ভিডিয়ো ভাইরাল (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা গিয়েছে, লাঠি নিয়ে ছুটে এসে কয়েকজন হামলা চালাচ্ছে। তারইমধ্যে এক মহিলাকে চিৎকার করতে শোনা যায়। অভিযোগ ওঠে, মন্দির চত্বরে ঢুকে দর্শনার্থীদের ওপর চড়াও হয় কট্টরপন্থী শিখরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে দাবি করা হয়। তবে ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, খলিস্তানিরা পতাকা নিয়ে ঢুকে পড়ে মন্দির চত্বরে। সেখানে দর্শনার্থীদের পতাকার লাঠি দিয়েই মারতে শুরু করে তারা। ভাইরাল ভিডিয়োতে হামলাকারী খলিস্তানিদের আটকাতে দেখা যায়নি পুলিশকে। পরে অবশ্য ব্র্যাম্পটনের হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে খলিস্তানিদের আটকানোর বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যাচ্ছে না তাঁর সরকারকে।