বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জের, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা দেওয়া বন্ধ কানাডায়

বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জের, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা দেওয়া বন্ধ কানাডায়

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জেরে দেখা দিচ্ছে বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)

কানাডার সবথেকে জনবহুল প্রদেশ ওন্টারিওতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা রোধক টিকা দেওয়া বন্ধ করা হল।

কানাডার সবথেকে জনবহুল প্রদেশ ওন্টারিওতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা রোধক টিকা দেওয়া বন্ধ করা হল। এই টিকা দেওয়া হলে রক্তের জমাট তৈরি হওয়ার একটি বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই প্রদেশের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ ডেভিড উইলিয়ামস এই সংক্রান্ত ঘোষণা করেন। ওন্টারিওতে করোনা কেস লোডের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও টিকাকরণের জেরে রক্তে জমাট তৈরি হওয়ার ঘটনা বাড়ছে। আর এটি টিকাকরণ বন্ধের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ভারতে চলা সমস্যার জেরে ব্যাহত হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন।

একটি বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, 'এই সিদ্ধান্তটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। কারণ টিকাকরণের পর রক্তে জমাট তৈরি হওয়ার একটি বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াটির নাম ভ্যাকসিন ইনডিউসড ইমিউন থ্রম্বটিক থ্রম্বসাইটোপেনিয়া বা ভিআইটিটি। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার থেকেই এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।'

এখনও পর্যন্ত মোট ১২ জনের শরীরে ভিআইটিটি নামক এই বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জেরে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এদিকে কানাডার ফেডেরাল কর্তৃপক্ষ ওন্টারিওর এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে এখনও কিছু বলেনি। উল্লেখ্য, কানাডায় এখনও পর্যন্ত ২.৩ মিলিয়ন টিকা পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১.৫ মিলিয়ন টিকা এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ৫ লক্ষ ভ্যাকসিন গিয়েছে সেরাম ইনস্টটিউটের তরফ থেকে। এছাড়া বাকি টিকা পৌঁছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে।

এদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জেরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা প্রেক্ষিতে ওন্টারিওর প্রদেশের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ ডেভিড উইলিয়ামস জানান, ৮ মে পর্যন্ত ৬ লক্ষ ৫১ হাজার ১২ জন মানুষকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর জেরে ভিআইটিটি-র হার ০.৯ শতাংশ। তবে গত কয়েকদিন ধরে ভিআইটিটি-র হার বেড়ে ১.৭ শতাংশ হয়েছে। তবে উইলিয়ামস জানান, ব্রিটেনের তথ্য বলছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে ভিআইটিটি-র ঝুঁকি খুবই কম। উল্লেখ্য, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।

এদিকে উইলিয়ামস বলেন, 'ফাইজার এবং মডার্নার টিকার সরবরাহ বেড়েছে। এবং প্রদেশে আগের তুলনায় করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই কমেছে। তাই তাড়াহুড়ো না করে আমরা অন্য টিকা প্রয়োগ করছি। এবং সেগুলির ফলও ভালো পাচ্ছি আমরা।'

বন্ধ করুন