আগেই কানাডায় আয়োজিত ভারতীয় কনস্যুলার ক্যাম্পগুলিতে নিরাপত্তা দেওয়া বন্ধ করেছিল জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। এবার তেমনই একটি কনস্যুলার ক্যাম্প আয়োজনের আগেই তৈরি হল আইনি জটিলতা।
সূত্রের খবর, শনিবার কানাডার একটি মন্দির চত্বরে কনস্যুলার ক্যাম্প করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু, স্থানীয় আদালত তার আগেই একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।
সেই নির্দেশিকায় বলা হয়, ওই মন্দির চত্বরে এবং তার ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত করা যাবে না। ফলত, শনিবার সেখানে কনস্যুলার ক্যাম্প করা হলেও কেউ সেখানে পরিষেবা গ্রহণ করতে আসতে পারবেন না।
সূত্রের দাবি, মন্দির পরিচালনাকারীদের তরফে পেশ করা আবেদনের ভিত্তিতেই আদালত এই নির্দেশিকা জারি করেছে। টরন্টোর স্ক্যারবরো এলাকায় ওই লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরটি রয়েছে।
বলা হচ্ছে, মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফেই অন্টারিওর একটি আদালতে আবেদন করা হয়, যাতে মন্দির চত্বরে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। সেই আবেদন মেনে নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর, ২০২৪) একটি নির্দেশিকা জারি করেন সুপিরিয়র কোর্ট অফ জাস্টিসের বিচারক।
আদালতের ওই আদেশনামার একটি প্রতিলিপি হিন্দুস্তান টাইমসের হাতে এসেছে। তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ভারসাম্য বজায় রাখতে ওই মন্দিরের ১০০ মিটারের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের জমায়েত বন্ধ রাখার যে আবেদন করা হয়েছিল, সেই আবেদনের প্রদর্শিত কারণসমূহে আদালত সন্তুষ্ট।
আদালতের আশা, এই নির্দেশিকার প্রতিবাদে কোনও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে না। যদিও আদালতের তরফে একথাও বলা হয়েছে, 'ভয় দেখিয়ে হিংসা বন্ধ করা যায় না। যে বয়স্ক মানুষজন মন্দিরে উপসানা করতে অথবা প্রশাসনিক পরিষেবা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কনস্যুলার ক্যাম্পে আসবেন, তাঁদের ভয় দেখানো হলে সেটা সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতিকর।'
আদালতের তরফে আরও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, যদি আদালত এই আবেদন মেনে সংশ্লিষ্ট মন্দির চত্বরে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে, তা হলে কারও না কারও ক্ষতি হতে পারে!
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই কানাডার ওই মন্দিরে আয়োজিত কনস্যুলার ক্যাম্পে হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, খলিস্তানপন্থীরাই ওই হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের মধ্যে 'শিখস ফর জাস্টিস' (এসএফজে)-এর সদস্য ও সমর্থকরাও ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।
এই কট্টরপন্থী ও ভারতবিরোধী সংগঠন ইতিমধ্যেই কানাডার টরন্টোয় আয়োজিত যেকোনও ভারতীয় কনস্যুলার ক্যাম্পের প্রতিবাদে সেখানে হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে রেখেছে।
প্রসঙ্গত, এই কনস্যুলার ক্যাম্পগুলি মূলত বছরে একবারই আয়োজিত হয়। এই ক্যাম্পগুলি থেকে সহজেই নানা ধরনের প্রশাসনিক পরিষেবা পাওয়া যায়। যেমন - প্রবীণ পেনশনভোগীরা এখান থেকে তাঁদের লাইফ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারেন।