কানাডার পুলিশ কয়েকজন সন্দেহভাজন 'হিট স্কোয়াড' সদস্যদের গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করা হল একটি রিপোর্টে। কানাডার ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তদন্তকারীরা মনে করছেন যে খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যা করার দায়িত্ব ওই সন্দেহভাজন 'হিট স্কোয়াড' সদস্যদের দিয়েছিল ভারত সরকার। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কানাডার তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। আপাতত কোনও মন্তব্য করেনি ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও। যদিও আগে একাধিকবার নয়াদিল্লি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে নিজ্জরকে হত্যার ঘটনায় ভারতের কোনও হাত নেই। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও একাধিকবার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে ভারত।
কানাডার ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে কী বলা হয়েছে?
পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূত্র উদ্ধৃত করে কানাডার ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে কানাডায় আরও তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। সারের গুরু নানক শিখ গুরুদোয়ারায় যেদিন নিজ্জরকে হত্যা করা হয়েছিল, সেদিন সন্দেহভাজন হিট স্কোয়াডের সদস্যরা শ্যুটার, চালকের মতো বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছিল। কমপক্ষে দুটি প্রদেশ থেকে শুক্রবার তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে কানাডার ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কানাডার সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সূত্রের তরফে দাবি করা হয়েছে যে ওই সন্দেহভাজন হিট স্কোয়াডের সদস্যদের কয়েক মাস আগেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। তারপর থেকে তাদের উপর লাগাতার নজর রাখা হচ্ছিল। অবশেষে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গ্রেফতারি নিয়ে পুলিশের তরফে আপাতত সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুক্রবার রাতের দিকে (কানাডার সময় অনুযায়ী) সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা হতে পারে বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পান্নুনকে নিকেশ করতে হিট টিমকে বরাত দিয়েছিল RAW অফিসার: ওয়াশিংটন পোস্ট রিপোর্ট
খলিস্তানি জঙ্গি প্রতি ট্রুডোর ‘সহানুভূতি’, পালটা ভারতের
উল্লেখ্য, সন্দেহভাজন হিট স্কোয়াডের সদস্যদের গ্রেফতারির বিষয়টা এমন একটা দিনে সামনে এল, যার কয়েকদিন আগেই টরেন্টোয় খালসা দিবসের অনুষ্ঠানে খলিস্তানি জঙ্গিদের প্রতি ‘সহানুভূতি’ প্রকাশ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন যে গত বছর নিজ্জরের হত্যার ফলে ‘সমস্যা’ তৈরি হয়েছে। যা তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন না।
পালটা নয়াদিল্লি সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো আগেও এরকম মন্তব্য করেছিলেন। তিনি এবার যে মন্তব্য করলেন, তা ফের প্রমাণ করল যে বিচ্ছিন্নতাবাদ, উগ্রপন্থা এবং হিংসাকে কতটা ফাঁকা ময়দান দিয়েছেন। তার ফলে শুধুমাত্র যে ভারত ও কানাডার সম্পর্কের প্রভাব পড়ছে, তা নয়। বরং কানাডায় হিংসা এবং অপরাধের পরিবেশ তৈরি করতে বল জোগাচ্ছে। যা তাদের দেশের নিজের নাগরিকদের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: গির্জার লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে Candy Crush খেলতেন পাদ্রী! কীভাবে ধরা পড়লেন?