লকডাউন। বাড়িতে বন্দি সকলে। এই সময়ে সেক্সের প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করেছিলেন সকলে। শিশু জন্মের সংখ্যাও বৃদ্ধির আশঙ্কা করেছেন কেউ কেউ। তবে আদতে পুরো বিষয়টা এত সহজ নয়। মানুষের যৌন চাহিদার বিষয়টি অনেক বেশি জটিল। এমনটাই উঠে আসছে কানাডার এক সমীক্ষায়।
ইউবিসির (ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া) সেক্সুয়াল হেলথ রিসার্চের সমীক্ষার মূল প্রশ্ন ছিল একটাই- 'যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতি কী প্রভাব ফেলেছে?'
গবেষকরা কানাডার প্রতিটি প্রদেশ থেকে মোট ১,০১৯ জনের উপর পর্যবেক্ষণ চালান। অংশগ্রহণকারীদের বয়স ১৯ থেকে ৮১ পর্যন্ত। গড় বয়স ৩০। অংশগ্রহণকারীদের ৭০ শতাংশ শেতাঙ্গ। তাঁদের মধ্যে সমকামীরাও ছিলেন। মোট অংশগ্রহণকারীদের ৩৭ শতাংশ বিবাহিত বা সঙ্গীর সঙ্গে বাস করেন।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সঙ্গীর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের লকডাউনের শুরুতে যৌন মিলনের প্রবণতা বেশি ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই গ্রাফ নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। গবেষকরা বলছেন, সব সময়ে ঘরে বন্দি থাকার ফলে একে অপরের সঙ্গে খুব বেশি সময় কাটানো হয়ে গিয়েছে। এর ফলে কিছুটা একঘেয়েমি এসে গিয়েছে এই যুগলদের মধ্যে। তাছাড়া করোনা লকডাউনে আর্থিক চিন্তা, স্ট্রেস, মানসিক অবস্থা ইত্যাদি নানা কারণে যৌন মিলনের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে এই যুগলদের মধ্যে।
আবার অবিবাহিত, সিঙ্গল বা সঙ্গীর সঙ্গে থাকেন না, এমন অংশগ্রহণকারীদের রেজাল্ট অভিনব। তাঁদের বেশিরভাগই আগের তুলনায় অধিক মাত্রায় হস্তমৈথুনের কথা স্বীকার করেছেন। গবেষক লোরি এ ব্রোটো জানিয়েছেন, 'করোনা পরিস্থিতিতে বাড়িতে আটকে থাকা, সঙ্গীর সঙ্গে দেখা করতে না পারা, নতুন সম্পর্ক তৈরি করতে না পারা ইত্যাদি কারণে তাঁদের যৌন মিলনের সংখ্যা কমে গিয়েছে।'