কেরলে মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ১০০ ছাত্রী সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন যে পরীক্ষায় উপস্থিত হওয়ার আগে তাঁদের ব্রা খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই বিতর্কের আগুনের আঁচ এখনও নেভেনি। তারই মাঝে এবার রাজস্থানে শুরু নয়া বিতর্ক। রাজস্থান এলিজিবিলিটি এক্সামিনেশন ফর টিচারের পরীক্ষায় মহিলা পরীক্ষার্থীদের ওড়না সরানো নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অসৎ উপায়ে যাতে কেউ পরীক্ষা না দিতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই পরীক্ষায় বসার আগে মহিলা পরীক্ষার্থীদের ওড়না সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে এবার বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজস্থানে।
জানা গিয়েছে, শুধু ওড়না সরানোই নয়, অনেক পরীক্ষার্থীর জামার হাতা কেটে নেওয়া হয়, কয়েকজনের সাড়ির সেফটিপিন খুলে নেওয়া হয়। কোনও কোনও পরীক্ষার্থীকে আবার ক্ষত থেকে ব্যান্ডেজ সরাতে বলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া বহু পরীক্ষার্থীকে চুড়ি, মঙ্গলসূত্র, জুতো, চটিও খুলে ফেলতে বলা হয়। রাজস্থানের দুঙ্গারপুর জেলায় এই ঘটনাগুলি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। সেই জেলায় ‘রিট’-এর মোট ৩২টি পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল।
এর আগে কেরলে মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ১০০ ছাত্রী সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন যে পরীক্ষায় উপস্থিত হওয়ার আগে তাঁদের ব্রা খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে এক ছাত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেছিলেন, ‘তারা আমাদের ব্রা খুলে একটি টেবিলের উপর রাখতে বলল। সব ব্রা একত্রিত করা হয় সেখানে। আমরা যখন পরীক্ষা শেষে ফিরে এলাম তখন ভিড় ছিল। কিন্তু আমি আমার ব্রা খুঁজে পেয়েছিলাম। তারা আমাদের ব্রা হাতে নিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বলেছিল। কথাটা শুনে আমরা খুবই বিব্রত হয়েছিলাম। কিন্তু সবাই ব্রা পরার জন্য অপেক্ষা করে সেখানেই। সেখানে অন্ধকার ছিল এবং জামা পালটানোর কোনও জায়গা ছিল না...’