দেশবাসীর উপরে জোর করে পরিবার পরিকল্পনা নীতি চাপিয়ে দেওয়া এবং সন্তানের সংখ্যা নির্দিষ্ট করার বিরোধী ভারত সরকার। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া অ্যাফিড্যাভিটে এই বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে যে পরিবার কল্যাণ কর্মসূচি চালু রয়েছে, তাতে যে কোনও দম্পতিকে তাঁদের পরিবারের আয়তন নির্দিষ্ট করার সুযোগ দেওয়া হয় এবং তার জন্য তাঁদের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবার পরিকল্পনা নীতি নিরূপণের সুযোগও দেওয়া হয়।
দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যায় লাগাম দিতে বিজেপি নেতা অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় পরিবার পরিকল্পনা নীতি অনুসারে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দুই সন্তান নীতি চালুর আবেদন খারিজ করেছিল দিল্লি হাই কোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান উপাধ্যায়।
সেই আবেদনের শুনানিতে এ দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়, ‘জ্বনস্বাস্থ্য নীতি’ রাষ্ট্রের এক্তিয়ারের ভিতরে পড়ে এবং সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য সংকট থেকে রক্ষা করেই তা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয় যে, ভারত সরকার একটি সামগ্রিক ও কার্যকরী জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০০০ প্রণয়ন করেছে, যার উদ্দেশ্য, সুচিন্তিত প্রেক্ষিত ও প্রয়োগ রীতি বাস্তবসম্মত। এই নীতির লক্ষ্য, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের মোট সন্তানধারণের হার ২.১ এ পৌঁছানো।
শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে, বলপূর্বক পরিবার পরিকল্পনা নীতি হিতে বিপরীত ঘটিয়েছে এবং দেশের গণবৈচিত্র প্রেক্ষাপট নষ্ট করেছে। এই কারণে সেই নীতিতে বিশ্বাসী নয় কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রসঙ্গত, জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছিল, জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ না করা হলে সংবিধানের ২১ ও ২১এ পরিচ্ছেদ অনুযায়ী নাগরিকের পরিশ্রুত বাতাস, পানীয় জল, স্বাস্থ্য, শান্তির ঘুম, আশ্রয়, রোজগার ও শিক্ষার প্রতিশ্রুতি পালন করা সম্ভব নয়। কিন্তু সেই যুক্তি মানতে চায়নি দিল্লি হাই কোর্ট।