তখন আপনার ২১ বছর বোধ হয়। সময়টা মনে আছে? টাইট জিন্সের প্যান্ট পরতেন। যথেচ্ছ ফাস্টফুড খেতেন। তবুও কোমর এখনের তুলনায় কম ছিল। কিন্তু এখন যে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্যান্টের কোমরের সাইজ বেড়েছে! আগের মতো ৩০-৩২ ইঞ্চির প্যান্ট আর আঁটে না কোমরে। ৩৪-৩৮-এর মধ্যে প্যান্ট পরতে হয়। এমনটাই যদি হয়ে থাকে, তবে আপনার কোমরে মেদ জমেছে। আর সেটাই টাইপ টু ডায়াবেটিসের অন্যতম লক্ষণ। দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউরোপীয় অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ ডায়াবেটিসের বার্ষিক সম্মেলনে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। একটি গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গিয়েছে যে, সাধারণ BMI সত্ত্বেও ডায়াবেটিস ছিল এমন ১২ জনের মধ্যে আটজনই তাঁদের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ওজন কমিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
এই ওজন কমানোর ফলে তাঁদের লিভার ও প্যানক্রিয়াসে জমে থাকা ফ্যাটের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এই কারণে ওজন কমিয়ে ফেলা ব্যক্তিদের আর ওষুধের প্রয়োজন হয় না।
নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রয় টেলরকে উদ্ধৃত করা হয়েছে এই রিপোর্টে। তাতে বলা হয়েছে, আপাতভাবে বিএমআই সূচক স্বাভাবিক লাগলেও, কোমর যদি বেড়ে থাকে, তবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও একইসঙ্গে বেড়ে থাকবে।