ওম বিড়লার মেয়েকে নিয়ে 'ভুয়ো' পোস্ট করার অভিযোগে মহাাষ্ট্রের সাইবার ক্রাইম পুলিশ অভিযোগ দায়ের করল ইউটিউবার ধ্রুব রাঠির বিরুদ্ধে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মানহানি, শান্তি বিঘ্নিত করার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে এই বিখ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটারের বিরুদ্ধে। এছাড়া আইটি আইনেও মামলা রুজু হয়েছে তাঁর নামে। উল্লেখ্য, ধ্রুব রাঠি 'বিজেপি বিরোধী' হিসেবে পরিচিত। (আরও পড়ুন: ফের এই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ল, এবার ১৬%, বর্ধিত ভাতা কার্যকর কবে থেকে)
আরও পড়ুন: শনির ফাঁড়া থেকে রক্ষা করছেন শনিদেব? ৪০ দিনে ৭ শনিবার সাপের ছোঁবল,তাও বেঁচে যুবক
আরও পড়ুন: ভোটে লেগেছে ঝটকা, বিলগ্নীকরণের পরিকল্পনা কি আপাতত বোতলবন্দি করবে বিজেপি?
এর আগে ধ্রুব রাঠি একটি পোস্ট করে দাবি করেছিলেন, ওম বিড়লার মেয়ে অঞ্জলি ইউপিএসসি পরীক্ষায় না বসেই তা পাশ করেছেন। উল্লেখ্য, গত জুন মাস থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ওম বিড়লার মেয়ে অঞ্জলি বিড়লার যোগ্যতা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। এই আবহে দাবি করা হয়, ধ্রুব নিজের সেই বিতর্কিত পোস্টে লিখেছিলেন, 'ভারতই একমাত্র দেশ, যেখানে পরীক্ষায় না বসেই ইউপিএসসি-তে পাশ করা যায়। এর জন্য শুধু লোকসভার স্পিকারের কন্যা হয়ে জন্মাতে হবে। ওম বিড়লার কন্যা অঞ্জলি বিড়লা পরীক্ষা না দিয়েই ইউপিএসসি পাশ করেছেন। উনি পেশায় মডেল। মোদী সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মজা ওড়াচ্ছে।' যদিও পরে জানা যায়, ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়েই সরকারি আধিকারিক হয়েছিলেন অঞ্জলি বিড়লা। (আরও পড়ুন: হাজিরা নিয়ে কড়াকড়ির মাঝে এই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্যে বাড়তি ছুটির ঘোষণা)
আরও পড়ুন: 'বাইডেনকে সরতেই হবে', ৯ কোটি ডলার অনুদান আটকে সাঁড়াশি চাপ ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের
তথ্য বলছে, এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ২০১৯ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন অঞ্জলি বিড়লা, এবং প্রথম চেষ্টাতেই সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ২০২০ সালের ৪ অগস্ট পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। কনসলিডেটেড রিজার্ভ লিস্টে ৮৯ জনের মধ্যে অঞ্জলি বিড়লার নামও ছিল। ২০১৯ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষার যে ফলাফলে প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে ৬৭ নম্বরে নাম ছিল অঞ্জলির। রোল নম্বর ছিল ০৮৫১৮৭৬। বর্তমানে রেল মন্ত্রকে কাজ করেন অঞ্জলি বিড়লা।
আরও পড়ুন: সময়ের আগে দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছবে ভারত, দাবি নীতি আয়োগের
উল্লেখ্য, ছোটবেলায় রাজস্থানের কোটার একটি স্কুলে ভর্তি করানো হয় অঞ্জলিকে। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য দিল্লি চলে যান তিনি। দিল্লি চলে যাওয়ার পর সেখানকার একটি কলেজে ভর্তি হন অঞ্জলি। রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। কলেজে পড়াকালীন ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন অঞ্জলি। প্রথম বারের চেষ্টায় সেই পরীক্ষায় পাশ করেন তিনি। এই আবহে তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ায় ট্রোলিংয়ের বিরুদ্ধে আইন আনার দাবি তুলেছিলেন অঞ্জলি।