কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ছবি সম্বলিত খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট উদ্ধারের পর এবার মামলা রুজু করল পুলিশ। শনিবার কেরল পুলিশ এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। বিএনএসের ১৭৩ ধারা এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের অধীনে এফআইআরটি দায়ের করা হয়েছে।অভিযোগ তোলা হয়েছে, এর মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করতে চায়ছে কংগ্রেস। আগেই নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াড এবং স্থানীয় পুলিশ কংগ্রেস নেতৃত্বের ছবি থাকা ৩০ টি খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করেছে। তারপর এবার মামলা রুজু হল।
আরও পড়ুন: ‘আমার তখন জ্বর, মাদার টেরেসা ঘরে ঢুকে, কপালে হাত রেখে বললেন...’
জানা গিয়েছে, ওয়েনাড়ের স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতার বাসভবনের কাছে একটি ময়দা মিল থেকে এই সব খাদ্য সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। যাতে ছিল চা, চিনি এবং চালের মতো খাদ্য সামগ্রী। রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও এই খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেটগুলিতে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের ছবি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ১৩ নভেম্বর এই কেন্দ্রে লোকসভা উপনির্বাচন রয়েছে। তার আগে কংগ্রেস নেতাদের ছবি থাকা খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট উদ্ধার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
রাজ্যের শাসক বামফ্রন্ট অভিযোগ করেছে, উপনির্বাচনের আগে ভোটারদের প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে চায়ছিল কংগ্রেস। এলডিএফের জেলা আহ্বায়ক এবং প্রাক্তন বিধায়ক সিকে সসেন্দ্রন জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্তের দাবিতে নির্বাচন কমিশন এবং ওয়েনাড় জেলা শাসকের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এলডিএফ অভিযোগ করেছে, কংগ্রেস ওয়েনাড়ে ভোটারদের কাছে খাবারের প্যাকেট বিতরণ করে নির্বাচনী নিয়ম ও নিয়ম লঙ্ঘন করছে। এভাবে তারা ভোটারদের প্রভাবিত করতে চায়ছে।
যদিও কংগ্রেস দাবি করেছে, গত ৩০ জুলাইয়ের ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য তাদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার পরিকল্পনা ছিল।উল্লেখ্য, এই আসনে লড়ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি সিপিআই-এর সত্যান মোকেরি এবং বিজেপির নব্য হরিদাসের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, খাদ্য সামগ্রী বিতরণের উদ্দেশ্য এবং নির্বাচনে তার সম্ভাব্য প্রভাব যাচাই করার জন্য তদন্ত চলছে। এদিকে, এই ঘটনায় বিজেপিও কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে। বিজেপি নেতারা বলছেন, এভাবে নির্বাচনী আচরণবিধির গুরুতর লঙ্ঘন করা হয়েছে।