রাজ্যসভায় ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল উদ্ধার হওয়া নিয়ে ধুন্ধুমার বেঁধে গেল। সেই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তিনি জানিয়েছেন, অভিষেক মনু সিংঘভি যেখানে বসেন, সেখানে থেকে নোটের বান্ডিল উদ্ধার করা হয়েছে। আর তা নিয়ে হইচই শুরু করে দেন বিজেপি সাংসদরা। তাঁরা দাবি করেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। আর তাতে সংসদের উচ্চকক্ষ মর্যাদাহানি হয়েছে। যদিও কংগ্রেসের সাংসদ দাবি করেছেন যে তিনি মাত্র একটি ৫০০ টাকার নোট নিয়ে রাজ্যসভায় যান। ফলে নোটের বান্ডিল কোথা থেকে এসেছে, তা নিয়ে তাঁর কোনও ধারণা নেই বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ।
আর পুরো বিষয়টি নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় শুক্রবার সকালে। শীতকালীন অধিবেশনের মধ্যেই ধনখড় জানান, বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরে সংসদের উচ্চকক্ষে রুটিন পরীক্ষা চালানো হচ্ছিল। সেইসময় ২২২ নম্বর আসন থেকে নোটের বান্ডিল উদ্ধার করেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। যে আসনটি আপাতত তেলাঙ্গানা থেকে নির্বাচিত সদস্য সিংঘভিকে বরাদ্দ করা আছে। বিষয়টি তাঁর নজরে আসার পরই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ধনখড়।
কংগ্রেস ও বিজেপির তরজা
রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, 'যতক্ষণ না তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে এবং ওই ঘটনার সত্যতা নির্ধারিত হচ্ছে, ততক্ষণ কোনও সদস্যের নাম করা উচিত নয়।' যদিও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কিরেণ রিজিজু দাবি করেন, প্রোটোকল মেনেই যাবতীয় কাজ করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। তিনি কোনওরকম ভুল করেননি।
ধনখড়ের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা। তিনি বলেছেন, ‘এটা অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। যা রাজ্যসভার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে। স্যার, আপনার সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের প্রয়োজন আছে।’
‘কখনও এরকম ঘটনা শুনিনি’, দাবি সিংঘভির
অন্যদিকে তাঁর আসন থেকে যে নোটের বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও ধারণা নেই বলে দাবি করেছেন সিংঘভি। তিনি বলেছেন, ‘কখনও এরকম কিছু শুনিনি। আমি যখন রাজ্যসভায় যাই, তখন একটি মাত্র ৫০০ টাকার নোট নিয়ে যাই। এরকম ঘটনার কথা আমি প্রথমবার শুনলাম। (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২ টা ৫৭ মিনিটে আমি সংসদে পৌঁছেছিলাম। দুপুর একটায় রাজ্যসভা মুলতুবি হয়ে গিয়েছিল। দুপুর ১ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ক্যান্টিনে বসেছিলাম। তারপর সংসদ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম।’