নর্থ দিল্লিতে ভয়াবহ ঘটনা। ক্যাশ ভ্যানের নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এরপর তারা ৮ লাখ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে বলে অভিযোগ। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। গোটা এলাকায় দেশের রাজধানীতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। কে বা কারা রয়েছে এর পেছনে?
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (নর্থ) সাগর সিং কালসি জানিয়েছেন, রক্ষীকে গুলি করা হয়েছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাঁকে মৃত অবস্থাতেই আনা হয়েছিল।
সূত্রের খবর,আইসিআইসিআই এটিএমের কাছেই এই ঘটনা। ওয়াজিরাবাদ এলাকায় একটি ফ্লাইওভারের কাছে এই ভয়াবহ ঘটনা। বিকাল ৫টা নাগাদ গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এরপর টাকার ভ্যান থেকে লুঠপাট চলে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ যায়। কিন্তু ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে,বিকাল ৪.৫০ মিনিট নাগাদ জগৎপুরী ফ্লাইওভারের কাছে একটি ক্যাশভ্যান এসে দাঁড়ায়। ক্যাশ জমা দেওয়ার জন্য সেটি এটিএমের সামনে এসেছিল। এমন সময় একজন পেছন দিক থেকে আসে। এরপর সে গুলি চালায় ক্যাশ ভ্যানের গার্ডকে লক্ষ্য করে। এরপর টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। এরপর ওই রক্ষীকে দ্রুত কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলেই সম্ভবত মৃত্যু হয়েছিল তার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যেটুকু জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ৮ লাখ টাকা লুঠ করা হয়েছে। তবে ক্যাশভ্যানের অপর এক কর্মী ওই জখম গার্ডকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তার কাছেই টাকার লগবুকটি রয়েছে। সেক্ষেত্রে মোট কত টাকা খোয়া গিয়েছে তারপরেই সেটা বোঝা যাবে।
এদিকে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে তবে কি যে দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে তারা রীতিমতো ছক কষেই এসেছিল। যে সময়ে এটিএমে টাকা ভরার জন্য ক্যাশভ্যান আসে সেটা লক্ষ্য রাখত তারা। তারপর এদিন অপারেশন। এমনটাই অনুমান।
পুলিশ ইতিমধ্যেই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। আর কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে এভাবে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যেতে পারল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
তবে ইতিমধ্যেই পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো শুরু করেছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup