পাঁচদিন ধরে অভিযান চালিয়ে অবশেষে ১২০ ফুট গভীর কুয়ো থেকে উদ্ধার হল বিড়াল। ঘটনাটি রাজস্থানের। সাধারণত এই রাজ্যে প্রায়ই শিশুদের গভীর কুয়োয় পড়ে যাওয়ার ঘটনা সামনে আসে। সেক্ষেত্রে অনেক শিশুকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়, আবার প্রাণ হারায় অনেকেই। তবে রাজস্থানে বিড়াল উদ্ধারের অভিযান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝুনঝুনু জেলার সোতি গ্রামের। এলাকার যুবকদের নিজেদের জীবন বাজি রেখে যেভাবে বিড়ালটিকে উদ্ধারে তৎপর হয়েছেন, তার প্রশংসা করেছে নেটপাড়া।
সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ওই গ্রামের বালাজি মন্দিরের কাছে ১২০ ফুট গভীর ওই পরিত্যক্ত কুয়ো রয়েছে। সেখানেই পাঁচদিন আগে পড়ে যায় বিড়ালটি। খবর পাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই গ্রামের যুবকরা নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে ১২০ ফুট গভীর কুয়োয় নেমে যান এবং বিড়ালটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ৫ দিন ধরে উদ্ধার অভিযান চালান। তবে গ্রামের যুবকরা যখন সফল হতে পারেননি, তখন প্রাণী মিত্র সেবা সমিতির সাহায্য নেন এবং বিড়ালটিকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয় আনা হয়েছিল।
জানা যাচ্ছে, গ্রামবাসীরা বিড়ালকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। বিড়ালের জন্য খাবার এবং জল কুয়োর ভিতরে রাখার ব্যবস্থা করেন, যাতে বিড়ালটি বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু, গভীরতা বেশি হওয়ার কারণে যুবকরা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন।
খবর পেয়ে প্রাণী মিত্র সেবা সমিতির প্রধান ডঃ অনিল খিচাদ তাঁর দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। দ্রুততার সঙ্গে তাঁরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। জানা যাচ্ছে, সমিতির সদস্যরা দড়ি এবং জালের সাহায্যে কুয়োয় নেমে পড়েন। তাঁরা তিন ঘণ্টা ধরে উদ্ধার অভিযানের পর অবশেষে বিড়ালটিকে নিরাপদে বের করে আনেন। তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন গ্রামবাসীরা।
উদ্ধারের পর বিড়ালের শারীরিক পরীক্ষা করেন চিকিৎসক। বিড়ালটি সুস্থ রয়েছে। এই পুরো উদ্ধার অভিযানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এর ভিডিয়ো এবং ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এটি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। গ্রামের যুবকদের এই উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা পাচ্ছে।