বখরি ইদের আগে বন্যায় পোয়াবারো হয়েছে বাংলাদেশের গরুপাচারকারীদের। বন্যার জলে ভারত থেকে গরু ভসিয়ে দিচ্ছে পাচারকারীরা। সেই গরু স্থানীয় হাটে বিক্রি করছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। গত কয়েকদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র-সহ একাধিক নদ-নদীর জল বাড়ায় অসম লাগোয়া বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে এভাবেই চলছে কারবার।
করোনার জেরে এবার বখরি ইদে বাংলাদেশে পশুর বাজারে মন্দা। ভারত থেকে যাওয়া গরুর দাম সেখানে বেশ চড়া হলেও এবার সুবিধা করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। লাখ টাকার গরু ৭০ - ৮০ হাজারে বেচে দিতে হচ্ছে। তবে তাতেও বন্ধ নেই পাচার।
অসমে বন্যার সুযোগ নিয়ে সেখানে ব্রহ্মপুত্রে গরু ভাসিয়ে দিচ্ছে পাচারকারীরা। সেই গরু ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশে ঢুকলে তা পাকড়াও করে বিক্রি করে দিচ্ছে সেখানকার ব্যবসায়ীরা। টাকা পৌঁছে যাচ্ছে ভারতীয় পাচারকারীর পকেটে। এক জোড়া গরু বন্যার জল থেকে ধরে হাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য দালালরা পাচ্ছেন ৫,০০০ বাংলাদেশি টাকা।
তবে গোটা এই ব্যবস্থাকে অসংগঠিত ভাবলে ভুল হবে। গরুর মালিক চিহ্নিত করতে গরুর হায়ে মার্কা মারা হচ্ছে। সেই চিহ্ন দেখে সনাক্ত করা হচ্ছে ভারত থেকে কে ভাসিয়েছে গরু। বন্যার জেরে ব্রহ্মপুত্রের চরে বহু ক্যাম্পে বিএসএফ না থাকার সুযোগে এই পাচার চালাচ্ছে চোরাকারবারিরা।