দেওয়ান হাউজিং ফাইন্যান্স লিমিটেডের(DHFL) বিরুদ্ধে দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কিং কেলেঙ্কারীর অভিযোগে মামলা সিবিআইয়ের। মোট ১৭টি ব্যাঙ্কের ৩৪ হাজার কোটি টাকা গায়েব। সংস্থার প্রাক্তন সিএমডি কপিল ওয়াধওয়ান, পরিচালক ধীরজ ওয়াধাওয়ান এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে সিবিআই(CBI)। বুধবার এমনটা জানিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
২০ জুন মামলার নথিভুক্তি হয়। বুধবার CBI-এর ৫০ জন তদন্তকারীর একটি টিম অভিযুক্তদের অফিসে অভিযান চালায়। তালিকায় ছিলেন অ্যামেরিলিস রিয়েলটরস-এর সুধাকর শেট্টি-সহ মোট আটজন বিল্ডার।
অভিযোগ:
১৭টি ঋণদাতা ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়ামের তরফে অভিযোগ দায়ের করে ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (UBI)। তাতে বলা হয়েছে, এই কনসোর্টিয়াম ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে মোট ৪২,৮৭১ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেছিল।
ব্যাঙ্কের অভিযোগ, কপিল এবং ধীরজ ওয়াধওয়ান ও অন্যরা মিলে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছেন। ভুলভাবে পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেছেন। তথ্য গোপন করে বিশ্বাসের অপরাধমূলক লঙ্ঘন করেছেন।
২০১৯ সালের মে থেকে ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়ে যায় সংস্থা। আর তার ফলে কনসোর্টিয়ামের ৩৪,৬১৪ কোটি টাকা হাওয়া হয়ে যায়। ফলে পাবলিক ফান্ডের অপব্যবহারের অভিযোগ তোলা হয়েছে DHFL কর্তাদের বিরুদ্ধে।
DHFL-এর অডিট করে দেখা যায়, সংস্থাটি ব্যাঙ্কের (পড়ুন জনসাধারণের) টাকা ব্যবহার করে 'কপিল এবং ধীরজ ওয়াধাওয়ানের জন্য সম্পদ বৃদ্ধি করেছে।' আর্থিক অনিয়ম, তহবিল তছরূপ, নকল হিসাবের নথি দিয়ে পুরো বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।
সংস্থার দুই কর্তাই অবশ্য আগেই জালিয়াতি মামলায় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে DHFL-এর বিরুদ্ধে তহবিল নয়ছয়ের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। সেই সময়ে ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলি ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯-এ একটি সভা করে। তাতে ১ এপ্রিল, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত DHFL-এর অডিট করার জন্য KPMG-কে নিযুক্ত করে।
ব্যাঙ্কগুলি ১৮ অক্টোবর, ২০১৯-এ কপিল এবং ধীরজ ওয়াধাওয়ানের বিরুদ্ধে একটি লুক আউট সার্কুলার জারি করে, যাতে তাঁরা দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন।