এবার কেন্দ্রীয় সরকারি উচ্চপদস্থ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামল সিবিআই। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রাক্তন ডেপুটি সেক্রেটারি–সহ ৬ জন প্রসার ভারতীর কর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। আর সেটি লোকপালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বুধবার এই খবর সরকারিভাবেই দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিবিআইয়ের তালিকায় বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে। এই তালিকায় শুধু তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রাক্তন ডেপুটি সেক্রেটারির (প্রাক্তন) নাম আছে তা নয়, এখানে প্রাক্তন প্রসার ভারতীর অ্যাডিশানাল ডিরেক্টর জেনারেল (ইঞ্জিনিয়ারিং), এডিজি ইঞ্জিনিয়ারিং (হেড কোয়ার্টারস), দু’জন অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার দূরদর্শনের ভুবনেশ্বর রাজ্যের এবং দু’জন অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ডিডি নিউজ নয়াদিল্লির, এদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। যাঁদের সন্দেহভাজন হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে ওই এফআইআরে।
আরও পড়ুন: অলিম্পিক গেমসে বাংলার কেউ পদক পেলেই মিলবে ডিএসপির চাকরি, সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন
অন্যদিকে লোকপালের নির্দেশে এদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তবে এই তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ্যে আনতে চায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে লোকপাল সরাসরি সিবিআইকে এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়। এইসব উচ্চপদস্থ কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসারদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে তাও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে লোকপাল। ফলে এখন একটা টানটান স্নায়ুর লড়াই শুরু হয়েছে ওইসব অফিসারদের।
এছাড়া লোকপালে পক্ষ থেকে সিবিআইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এইসব ব্যক্তির নাম যেন বাইরে না আসে সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। আর সেভাবেই তদন্ত করতে হবে। লোকপালের হাতে যে আইন আছে তা প্রয়োগ করেই এটা করতে বলা হয়েছে। যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে শুরু করেছে সিবিআই বলে সূত্রের খবর। যে তথ্যপ্রমাণ সিবিআই পেয়েছে তার ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী ৬১(২) ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই ধারা হচ্ছে ফৌজদারি ষড়যন্ত্র এবং দুর্নীতি করলে কার্যকর করা হয়। যা এই অফিসারদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে।