ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনকে গুপ্তচরবৃত্তির মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ৩ বছর পর চার্জশিট দিল সিবিআই। সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে পুলিশের দুই প্রাক্তন ডিজি সিবি ম্যাথুস (কেরলের) এবং গুজরাটের আর বি শ্রীকুমারের। এছাড়াও নাম রয়েছে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তা এস বিজয়ন এবং থাম্পি এস দুর্গা দত্তের নাম রয়েছে চার্জশিটে। ১৯৯৪ সালে নাম্বিকে গুপ্তচরবৃত্তির মিথ্যে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিরুবনন্তপুরমের মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের কাছে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস ইসরোর জন্য টাকা বরাদ্দ করত না, বিস্ফোরক বৈজ্ঞানিক নাম্বি নারায়ণন
আদালত সূত্রের খবর, এই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্র, বেআইনিভাবে আটকে রাখা, স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি করতে আঘাত করা, মিথ্যা নথি তৈরি করা, প্রমাণ জালিয়াতি করা সহ মহিলাদের উপর অত্যাচারের ধারায় মামলা চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। সিবিআই এই মামলার তদন্তে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা ও আইবি সহ ১৮ জনের ভূমিকা খতিয়ে দেখে।২০২১ সালের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলাটি দায়ের করেছিল সিবিআই। শীর্ষ আদালত একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। তারপরেই তদন্তে নামে সিবিআই।
১১৯৪ সালের ইসরোর গুপ্তচর বৃত্তির মামলায় বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনি ভারতের সাইক্রোজেনিক ইঞ্জিন টেকনোলজিকে পাকিস্তানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। মলদ্বীপের কোনও নাগরিকের মাধ্যমে তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। এই অভিযোগে ইসরোর সহকর্মী ডি শশীকুমার সহ আরও চারজন অভিযুক্তের সঙ্গে নাম্বিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তিনি প্রায় ৫০দিন জেলে কাটান।
অভিযোগ ছিল, জেলে দুজন আইবি আধিকারিক তাঁকে ইসরোর বসের নাম বলার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। তিনি না বললে তাঁকে জেলে অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এমনটাই দাবি করেছিলেন নাম্বি। পরে পুলিশের পদক্ষেপকে ‘সাইকো প্যাথলজিকাল ট্রিটমেন্ট’ বলে উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।