সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে তাঁর বাসভবনে সিবিআই প্রধান নিয়োগ নিয়ে বৈঠকে হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি একটি আইনের পক্ষে সওয়াল করেন, যার জেরে কেন্দ্রের দেওয়া সম্ভাব্যদের নামের তালিকা থেকে কম পক্ষে দু'জনের নাম বাদ দেওয়া হয়। জানা যায়, কেন্দ্রের পছন্দের দুই আধিকারিক, ওয়াইসি মোদী এবং রাকেশ আস্থানার নাম বাদ দেওয়া হয় সম্ভাব্যদের তালিকা থেকে।
সোমবারের বৈঠকে সিবিআইয়ের পরবর্তী ডিরেক্টর হিসাবে ৩ জনের নাম উঠে আসে। সিআইএসএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল সুবোধ কুমার জয়সওয়াল, সীমা সুরক্ষা বলের ডিজি কুমার রাজেশ চন্দ্র এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ সচিব বিএসকে কউমুদির নাম শর্টলিস্ট করে কেন্দ্র। তিন জনের নামই কেন্দ্রের প্রস্তাবিত৷ যে তিন নামে সম্মতি জানান বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা৷
জানা গিয়েছে, সম্ভাব্যদের তালিকায় নাকি ওয়াইসি মোদী এবং রাকেশ আস্থানার নামও ছিল। তবে হাই প্রোফাইল বৈঠকে প্রধান বিচারপতি নাকি '৬ মাসের একটি আইন'-এর উল্লেখ করেন৷ যার জেরে বাদ পরে ওয়াইসি মোদী এবং রাকেশ আস্থানার নাম। এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন অধীর চৌধুরী। এদিকে সূত্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের পদে দৌড়ে সবথেকে এগিয়ে ছিলেন সুবোধকুমার জয়সওয়াল। শেষ পর্যন্ত তাঁকেই সেই পদে বসানো হবে বলে ঘোষণা করা হয় কেন্দ্রের তরফে।
প্রধান বিচারপতি রামানা ২০১৯ সালে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশের উল্লেখ করেন, যেখানে বলা হয়েছিল, যে আধিকারিকের পুরোনো পদে অবসরের আর ৬ মাস মাত্র বাকি তিনি নতুন করে পুলিশ প্রধান হতে পারবেন না৷ প্রধান বিচারপতি পরামর্শ দেন, সিবিআই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকাকে মাথায় রাখা হোক৷
এদিকে গতকাল নিয়োগ নিয়ে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলেছিলেন লোকসভায় কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা অধীর চৌধুরী। যদিও নিয়ম অমান্য করা হবে না বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামনা৷