ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সিইও চিত্রা রামাকৃষ্ণার বিরুদ্ধে কোমর কষতে শুরু করেছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে এনএশইর গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগ ছাড়াও কর্পোরেট গভর্নেন্সে ফাঁকির সন্দেহ রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় সিবিআই কোমর কষতে শুরু করে দিয়েছে। চলেছে চিত্রা রামাকৃষ্ণাকে ঘিরে জিজ্ঞাসাবাদও। তবে গোটা ঘটনায় বারবার উঠে এসেছে হিমালয়ে সন্ন্যাসী হিসাবে থাকা জনৈক যোগীপুরুষের নাম। যাঁর কথাতেই এই তথ্য ফাঁস করেছেন বলে অভিযোগ চিত্রার বিরুদ্ধে। যা ঘিরে জল্পনা ও প্রশ্নের অন্ত নেই।
এদিকে, ইতিমধ্যেই সেবি দফতর থেকে নথি সংগ্রহ করতে উদ্যোগ নিয়েছে, সিবিআই। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই সেবির দফতরে গিয়ে চিত্রা ও তাঁর কার্যকলাপ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করেছে সিবিআই। উল্লেখ্য, 'অ্যালগোরিথিমিক ট্রেডিং' কে কেন্দ্র করে এনেসইর তরফে কয়েকজন ট্রেডারকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৮ সালের সেই মামলা সম্পর্কিত ক্ষেত্রেই এই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে যে শুধুই ফোকাসে রয়েছে চিত্রা রামাকৃষ্ণা তা নয়। তাঁর উপদেষ্টা আনন্দ সুব্রহ্মণ্যমও রয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তের ফোকাসে। দুই ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন ভবনও তল্লাশি করেছে তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, চিত্রাকে যেমন জিজ্ঞাসাবাজ করা হয়েছে এই মামলায়, তেমনই তাঁর উপদেষ্টা আনন্দকেও এই মামলায় জিজ্ঞাসা করতে সিবিআইয়ের একটি দল উড়ে যায় চেন্নাইতে।
উল্লেখ্য, বিষয়টি নিয়ে রামাকৃষ্ণা ও সুব্রহ্মণ্যমকে প্রশ্ন করা হলে, তাঁরা এর কোনও জবাব দিতে চাননি। এদিকে, এনএশই ও সেবিও প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি। উল্লেখ্য, সেবির একটি নথিতে উল্লেখ রয়েছে চিত্রার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের। সেখানে বলা হয়েছে, হিমালয়ে বসবাসকারী কোনও যোগীকে এনএসইর গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন চিত্রা। আর সেই যোগীর থেকেই চিত্রা আধ্যাত্মিক উপদেশ নিতেন বলে জানা যায়। এবার এই তদন্তে 'মিসিং লিঙ্ক' একজোট করে তার সমাধানের চেষ্টা যেমন করছে সিবিআই। তেমনই এই হিমালয়ের যোগীর রহস্যও উন্মোচন করার চেষ্টায় রয়েছে তারা।