সাধারণত কোনও কেসে দুর্নীতি ঘিরে ইডি ও সিবিআইকে তদন্তে নামতে দেখা যায়। এবার এক ইডি অফিসারকে খুঁজছে সিবিআই। ওই ইডি অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ইডি অফিসার সিমলায় কর্মরত ছিলেন। তবে আপাতত তিনি পলাতক বলে খবর।
এদিকে, দিল্লিতে ওই ইডি অফিসারের ভাই একটি পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কে কর্মরত। তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে আপাতত ওই ইডি অফিসারের কোনও হদিশ মেলেনি বলে খবর। এদিকে, জানা গিয়েছে, ইডির অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর পদে ওই অফিসার ছিলেন। ‘ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেস’র খবর অনুযায়ী, ওই ইডি অফিসারের বিরুদ্ধে ৫৪ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, ওই ইডি অফিসারকে ঘিরে বিভিন্ন লোকেশনে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। সেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকেও বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। এদিকে, ওই ইডি অফিসারকে না পেলেও, তাঁর ভাই, যিনি একটি পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কে কর্মরত ম্যানেজার হিসাবে, তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের খবর, ওঁদের বিরুদ্ধে তিন বছর আগে, এক ঘুপ্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের আওতায় এই মামলায় তদন্তকারী অফিসার ছিলেন ওই ইডি অফিসার। সেই সময়ই তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এদিকে, খবর, সদ্য, ওই ইডি অফিসারের বাড়ি ও গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ উদ্ধার হয়েছে। এই মামলা নিয়ে এক অফিসার জানিয়েছেন,'সহকারী পরিচালক পলাতক। বুধবার তার ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়, কারণ সেও এই র্যাকেটের অংশ ছিল এবং তাঁর ভাইয়ের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছিল।' জানা যাচ্ছে, ঘুষ নেওয়ার জন্য সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগকারী ব্যক্তিকে চণ্ডীগড়ের এক বিশেষ জায়গায় আসতে বলেন ওই সিবিআই অফিসার। সঙ্গে ঘুষের টাকাটিও নিয়ে আসতে বলেন। যে জায়গায় টাকার আদান প্রদান হওয়ার কথা ছিল, সেই জায়গা পর্যন্ত ইডি অফিসারকে ধাওয়া করে চণ্ডীগড় সিবিআইয়ের একটি টিম। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইডি আধিকারিক বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি ধরা পড়েছেন এবং তড়িঘড়ি করে কিছু টাকা সংগ্রহ করে গাড়ির ভিতরে চলে যান। পালানোর সময় তিনি ধাক্কাও মারেন এবং অন্যান্য গাড়িতে আঘাত করেন। অভিযোগ, তখনই ৫৪ লাখ টাকা নিয়েছেন ঘুষ হিসাবে। আপাতত গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এরপর ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। তারমধ্যে ওই ইডি অফিসারের বাড়িও ছিল। সেখানে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, ৫৬.৫ লাখ নগদ টাকা সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে। এক অফিসার স্পষ্ট করেছেন যে, সিমলায় ইডি অফিসগুলি অনুসন্ধান করা হয়নি এবং পরবর্তীতে ৫৬.৫ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার কোনও ইডি অফিস থেকে হয়নি।