বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিবিআই তদন্ত হবে। ইসলামপুরের পান্তপাড়ায় গণপিটুনিতে মৃত কিষানগঞ্জ পুলিশকর্তার পরিবারকে এমনই আশ্বাস দিলেন নীতিশ কুমার সরকারের মন্ত্রীরা।
মঙ্গলবার বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তারকিশোর প্রসাদ ও পরিবেশমন্ত্রী নীরজ সিং বাবলু মৃত এসএইচও-র পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। জানকীনগরের পঞ্চু মণ্ডল তলায় তাঁর বাড়িতে যান দুই মন্ত্রী। সেখানেই এমন আশ্বাস দেন তাঁরা।
'বিজেপি ক্ষমতায় এলে, আমাদের সাহসী পুলিশ আধিকারিকের গণপিটুনিতে মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে,' পরিবারের সদস্যদের বলেন তাঁরা। এর পাশাপাশি তাঁর পরিবারকে সরকার সবরকম সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন দুই মন্ত্রী। মৃত পুলিশ আধিকারিকের সন্তানের লেখাপড়ার খরচও বহন করা হবে, আশ্বাস তাঁদের।
নীরজ সিং বাবলু বলেন, 'ওইদিন অশ্বিনী কুমারকে একা ফেলে রেখে পালানোর অভিযোগ উঠেছে একাধিক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। দোষ প্রমাণিত হলে কেউ ছাড় পাবেন না।' এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের দিকেও আঙুল তোলেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, 'বর্তমান রাজ্য সরকার মস্তান-গুন্ডাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।'
গত ৯ এপ্রিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে তল্লাশি চালানোর জন্য স্থানীয় পুলিশের সাহায্য চেয়ে যোগাযোগ করেন বিহারের এসএইচও অশ্বিনী কুমার। বিহারের পুলিশের একাংশের দাবি, ভোটের মধ্যে বাহিনী দেওয়া সম্ভব নয় বলে তাঁকে জানান জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। এরপর স্থানীয় পুলিশের সাহায্য ছাড়াই তল্লাশি চালাতে আসেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার গভীর রাতে দু'জনকে উর্দি পরে এলাকায় ঘুরতে দেখেন এলাকাবাসী। মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে তাঁদের ধরে গণধোলাই দেয় জনতা। তাতে মৃত্যু হয় কিষানগঞ্জের এসএইচও অশ্বিনী কুমারের।
প্রাথমিক তদন্তের পর গোলাপোখার থানায় FIR দায়ের করা হয়। তাতে ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অপরাধে আরও ৫০০ জন স্থানীয় জড়িত বলেও উল্লেখ করা হয়। FIR-এ সার্কেল ইনস্পেক্টর (বর্তমানে সাসপেন্ডেড) মনীশ কুমার অভিযোগ করেন, 'স্থানীয় মসজিদ থেকে ঘোষণার মাধ্যমে চাঞ্চল্য ছড়ানো হয়। এরপর ৫০০ জনেরও বেশি জড়ো হয়ে যায়। সকলে মিলে পুলিশকর্মীদের উপর চড়াও হয়। এরপর অশ্বিনী কুমারকে গণপিটুনি দিয়ে খুন করা হয়।' ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত ৮ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।