নীরজ চৌহান
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই) বৃহস্পতিবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের একটি বেসরকারি সংস্থাকে কিরু হাইড্রো ইলেকট্রিক পাওয়ার প্রজেক্টের (এইচইপি) ২,২০০ কোটি টাকার চুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে এমন ৩০টিরও বেশি জায়গায় অভিযান শুরু করেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তদন্তের অংশ হিসাবে সত্যপাল মালিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে এই মামলায় চলছে। ৬২৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কিরু প্রকল্পটি কিশতওয়ার জেলার চেনাব নদীর উপর একটি রান-অব-নদী প্রকল্প।
২০১৮ সালের অগস্ট থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন সত্যপাল মালিক। অভিযোগ, বিদ্যুৎ প্রকল্প সংক্রান্ত একটি ফাইল দেওয়ার জন্য তাঁকে ৩০০ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
২০১৯ সালে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে অসদাচরণের অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের অনুরোধে ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল সিবিআই একটি মামলা দায়ের করে। ই-টেন্ডারিং সংক্রান্ত নির্দেশিকা না মেনেই এই চুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে এই তদন্তে গত মাসে দিল্লি ও জম্মু ও কাশ্মীরের প্রায় আটটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সিবিআই নগদ ছাড়াও ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার, সম্পত্তির নথি এবং আপত্তিজনক নথি উদ্ধার করেছে।
সিবিআইয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত রেফারেন্সের ভিত্তিতে তৎকালীন চেয়ারম্যান, এমডি এবং একটি বেসরকারি সংস্থা সিভিপিপিএল-এর ডিরেক্টর এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
অভিযোগ, কিরু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সংক্রান্ত সিভিল ওয়ার্কস অ্যাওয়ার্ডে ই-টেন্ডার সংক্রান্ত নির্দেশিকা মানা হয়নি।
এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে, সিভিপিএল (চেনাব ভ্যালি পাওয়ার প্রজেক্টস (প্রাইভেট) লিমিটেডের ৪৭ তম বোর্ড সভায় চলমান দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল হওয়ার পরে বিপরীত নিলামের মাধ্যমে ই-টেন্ডারের মাধ্যমে পুনরায় দরপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তবে তা কার্যকর করা হয়নি (৪৮ তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে) এবং শেষ পর্যন্ত প্যাটেল ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল।