দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় আজ পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে মণীশ সিসোদিয়ার লকারে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তল্লাশি অভিযান শেষ হলে মণীশ সিসোদিয়া দাবি করেন, লকার থেকে তদন্তকারীরা কিছুই পাননি। জানা গিয়েছে, তল্লাশ অভিযানের সময় তাঁর স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন ব্যাঙ্কে। মণীশ সিসোদিয়া বলেন, ‘এর আগে সিবিআই অভিযানের সময় আমার বাসভবনে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি। আজ আমার ব্যাঙ্ক লকারেও তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি। আমি খুশি যে আমি ক্লিন চিট পেয়েছি। সিবিআই আধিকারিকরা আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করেছেন এবং আমরাও তাঁদের সহযোগিতা করেছি। সত্যের জয় হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, আজকে লকারে তল্লাশি চালিয়ে মাত্র ৭০ হাজার টাকার সোনার গয়না দেখতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে। এই আবহে কয়েকদিন আগেই ১৪ ঘণ্টা ধরে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাসভবনে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। সেই সময় কম্পিউটার, ফোন এবং বিভিন্ন সরকারি ফাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সিসোদিয়ার পাশাপাশি দিল্লির তৎকালীন আবগারি কমিশনার আরভ গোপী কৃষ্ণের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। প্রসঙ্গত, আবগারি দপ্তর সিসোদিয়ার অধীনে।
এর আগে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। মুখ্য সচিবের প্রতিবেদনের পর তিনি এই সুপারিশ করেন। রিপোর্টে ডেপুটি সিএমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই আবহে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। জানা গিয়েছে, মণীশ সিসোদিয়ার নামে এফআইআর করার আগে রাষ্ট্রপতির থেকে অনুমতি নেয় সিবিআই। এরপর থেকেই এই মামলায় রাজৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। সিসোদিয়া অভিযোগ করেন, বিজেপি তাঁকে আম আদমি পার্টি ভাঙার প্রস্তাব দিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি বিধানসভায় আস্থা ভোটও করান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে বিজেপিও কেলেঙ্কারি নিয়ে পালটা তোপ দেগেছে আম আদমি পার্টিকে।